বাঙালিকে অনেকেই ভ্রমণপ্রিয় জাতির তকমা দিয়ে থাকেন। কারণটা অনেকটাই পরিষ্কার। কাজ থেকে ফুরসৎ মিললেই অনেকে ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়েন বাড়ি থেকে। কখনও গন্তব্য হয়ে থাকে পাহাড়, কখনো সমুদ্র, কখনো ঐতিহাসিক স্থান, কখনো ধর্মীয় স্থান, আবার কখনো কোনো শান্ত জায়গা। এর মাঝে অনেকেই যান বিদেশ ট্যুরে, কেউ আবার ভিনরাজ্যে কোনো দর্শনীয় স্থান যেতে পছন্দ করেন। অনেকেই আবার কাছেপিঠের কোনো সুন্দর জায়গা খুঁজে নেন হলিডে ডেস্টিনেশন হিসেবে। সেখানেই দিনকয়েক কাটিয়ে আবার সাধারণ জীবনে ফিরতে হয়।
বাঙালির কাছেপিঠের নানা ঘোরার জায়গা রয়েছে। যারা সমুদ্র ভালোবাসেন, তাদের জন্য যেমন রয়েছে দীঘা ও পুরী; তেমনই আবার পাহাড় ভালোবাসলে তার জন্য খোলা রয়েছে দার্জিলিংয়ের দরজা। তবে বরফের পাহাড় দেখতে হলে অনেকেই সিকিমকে প্রথম বিকল্প হিসেবে বেছে নেন। কিন্তু এমন অনেকেই রয়েছেন যারা কিছু অফবিট ডেস্টিনেশন খোঁজেন। আপনিও তাদের একজন হলে আপনার জন্য রইল তিনটি দারুন ডেস্টিনেশনের সন্ধান।
● সোলাং ভ্যালি: হিমাচল প্রদেশ শুনেই অনেকে কুল্লু মানালির কথা বলেন। তবে এই স্থান ছাড়াও হিমাচল প্রদেশে অনেক অজানা অফবিট গন্তব্য রয়েছে। যেমন মানালি থেকে লেহ-মানালি হাইওয়ে ধরে রোটাং পাস যেতে পারেন। এছাড়াও এই রাস্তায় ঘুরে নিতে পারেন সোলাং ভ্যালি। এই উপত্যকা হল হিমাচলের অন্যতম আকর্ষণ। এডভেঞ্চার পছন্দ হলে ঘুরে আসুন এখান থেকে।
● কুর্গ: পশ্চিমঘাট পর্বতমালার মাঝে প্রকৃতির খামখেয়ালিপনায় তৈরি হওয়া একটুকরো স্বর্গরাজ্য হল কুর্গ। কর্ণাটক রাজ্যের এই স্থানে গেলে ঝর্ণা, পাহাড়, কফির বাগান সবই পাবেন। এছাড়াও এডভেন্চারপ্রেমীরা কুর্গে পেয়ে যাবেন রিভার রাফটিং, জিপলিং, ট্রেকিং ও কায়াকিংয়ের মতো স্পোর্টি ইভেন্ট। এছাড়াও কুর্গ থেকে আপনি ঘুরে নিতে পারবেন রাজাসিট পার্ক, অ্যাবি ঝর্না, ওমকারেশ্বর মন্দির, তালকাবেরী, নাগরহোল জাতীয় উদ্যান, দুবারে হাতি সংরক্ষালয় ইত্যাদি জায়গা।
● শ্রীখোলা: কম বাজেটের দারুন অফবিট ডেস্টিনেশন হতে পারে সান্দাকফু-ফালুটের কাছে অবস্থিত শ্রীখোলা। রিম্বিক থেকে মিনিট পনেরোর রাস্তা পেরোলেই পৌঁছানো যায় এই স্থানে। এখানে যেমন রয়েছে বহু পুরানো ঝুলন্ত সেতু, তেমনই রয়েছে শ্রীখোলা নদীর আশেপাশে থাকা দুর্দান্ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। এছাড়াও পাহাড়ের গায়ে কাঠের বাড়ি দেখতে পারবেন এই স্থান থেকে। তাই নিরিবিলি জায়গার সন্ধান করলে শ্রীখোলা যেতে পারেন।