ভারতের প্রতিটি নাগরিকের রয়েছে রেশন কার্ডের অধিকার। দেশে খাদ্যাভাব দূর করতে এই ব্যবস্থার সূচনা ঘটে স্বাধীনতার পরেই। আর এই রেশন কার্ড রয়েছে এমন প্রত্যেক ব্যক্তি মাসে মাসে সরকারের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাদ্যশস্য পেয়ে থাকেন। রেশন কার্ড থাকলে সেই কার্ডের ভিত্তিতে নির্ধারিত খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয় স্থানীয় রেশন দোকান থেকে। তবে সবার ক্ষেত্রে সমান খাদ্যদ্রব্য বণ্টন করা হয় না। কোন গ্রাহক কত পরিমানে খাদ্য শস্য পাবেন তা ঠিক হবে তাঁর রেশন কার্ডের উপর।
তাই এই রেশন কার্ডটিকে সময়ে সময়ে আপডেট রাখা এবং কিছু ভুল থাকলে তা সংশোধন করা জরুরি। পাশাপাশি আপনি যদি এরকম কিছু সংশোধন করে থাকেন বা নতুন রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করে থাকেন, তাহলে তার স্ট্যাটাস চেক করাটাও জরুরি। তবে এবার রেশন ব্যবস্থায় এক বড়সড় ঘোষণা করলো সুপ্রিম কোর্ট। ঘোষণা নয়, বরং এটিকে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া নির্দেশ বললেই ভালো হয়। কারণ কেন্দ্র সরকারকে এবার রেশন কার্ড প্রসঙ্গে ডেডলাইন দিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্ট এবার কেন্দ্রকে একটি নির্দেশ দিয়ে জানিয়ে দিল যে পরিযায়ী শ্রমিকদের রেশন কার্ড আগামী ৩ মাসের মধ্যে করতে হবে আবশ্যিকভাবে। একইসঙ্গে এক্ষেত্রে কেওয়াইসি বিষয়ক কোনো বাহানা দেওয়া যাবেনা বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, পরিযায়ী শ্রমিকদের রেশন কার্ড সংক্রান্ত মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করেন প্রশান্ত ভূষণ নামের এক আইনজীবী। সেই মামলার রায় বেরোয় গত ২০ ই মার্চ। বিচারপতি হিমা কোহলি ও বিচারপতি আসাউদ্দিন আমানুল্লাহ এই মামলার রায় দিতে গিয়ে কেন্দ্রকে এই নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে অনেকবার সারা দেশে এক রেশন কার্ড চালুর কথা শোনা গিয়েছিল। তবে এক্ষেত্রে বেশ কিছু রাজ্যের তরফে ইতিবাচক সাড়া মেলেনি। যেহেতু কেন্দ্র ও রাজ্যের সহবস্থানে এই রেশন ব্যবস্থা চলে, তাই এক্ষেত্রে প্রতিটি রাজ্যের মতামত থাকাটাও জরুরি। তবে এই ব্যবস্থা চালু হলে যেকোনো রাজ্যের শ্রমিক যদি অন্য রাজ্যে কাজ করতে যান, তাহলে সেই কর্মস্থলে তিনি রেশন তুলতে পারবেন। কিন্তু এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে কেন্দ্রের চালু করা ই-শ্রম পোর্টালে যে ২৮৮ মিলিয়ন শ্রমিক নথিভুক্ত রয়েছেন, তাদের মধ্যে ৮০ মিলিয়নের রেশন কার্ডই নেই।