প্রতিদিনই দেশজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ ট্রেনের মাধ্যমে পৌঁছে যান নির্দিষ্ট গন্তব্যে। আর এই যাত্রী পরিবহনের সবটা দেখভাল করে ভারতীয় রেল। বর্তমানে ভারতীয় রেলের অধীনে অনেক ধরণের ট্রেন চলে। যেমন লোকাল ট্রেনে শহর বা জেলার এক স্থান থেকে অন্য স্থানে কিংবা এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাওয়া যায়, তেমনই আবার এক্সপ্রেস ট্রেনে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যাওয়া যায়। এর মাঝেই আবার রয়েছে সুপারফাস্ট এবং সেমি-হাইস্পিড ট্রেনও। তবে প্রতিদিন দেশের সবথেকে বেশি যাত্রী পরিবহন করেন লোকাল ট্রেনে। শহরতলি বা মফঃস্বল এলাকার বিভিন্ন রুটে দেশজুড়ে লোকাল ট্রেন চলে। আর এবার লোকাল ট্রেনের যাত্রীদের জন্য রয়েছে এক সুখবর।
করোনাকালীন সময়ে ট্রেন পরিষেবা বন্ধ হয়েছিল দেশের সিংহভাগ জায়গায়। তারপর ফের ট্রেন চলাচল শুরু হলেও সবটা একই থাকেনি। অনেক প্রান্তিক রুটে দেরিতে শুরু হয় ট্রেন চলাচল। তেমনই আবার দেশের প্রায় সব রেলওয়ে ডিভিশনের সব রুটে যাত্রীদের ভিড় কম রাখতে লোকাল ট্রেনের পরিবর্তে স্পেশ্যাল ট্রেন চালায় রেল। আর এভাবে বাড়ানো হয় ট্রেনের ভাড়া। করোনাকালীন সময়ের পর যখন ট্রেন চালু হয়, তখন ১০ টাকা ভাড়া বেড়ে হয় ৩০ টাকা। এর ফলে যাত্রীরা বড় সমস্যায় পড়েন। তৈরি হয় যাত্রী অসন্তোষ।
তবে লোকসভা ভোটের আগেই যাত্রীদের এই অসন্তোষ দূর করতে বড় পদক্ষেপ নিলো মধ্য রেল। ভারতীয় রেলের অধীনে একটি বৃহৎ স্থানে রেল পরিষেবা দেয় মধ্য রেল। আর এবার এই রুটে করোনাকালীন সময়ের আগের ভাড়ায় ফিরিয়ে আনা হল। জানা গেছে, সব স্পেশ্যাল ট্রেনকে এবার প্যাসেঞ্জার ট্রেনে রূপান্তরিত করা হচ্ছে। একইসঙ্গে এইসব স্পেশ্যাল ট্রেনের তুলনায় ৪০% থেকে ৫০% কমানো হচ্ছে প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ভাড়া। ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে লাগু হয়েছে এই ভাড়া। মধ্য রেলের সব রুটেই এই নিয়ম লাগু করা হয়েছে। এর ফলে যাত্রীরা খুশি ব্যাপকভাবে।
তবে ট্রেনের সাধারণ টিকিটের ভাড়া কমানোর সঙ্গে অনেকেই মনে করেছিলেন যে লোকসভা ভোটের আগে বয়স্ক যাত্রীদের টিকিটের মূল্য কমানো হতে পারে। যাবে এই বিষয়ে এক্ষুনি কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না ভারতীয় রেল। এই মর্মে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, “বর্তমানে সব যাত্রীই ৫৫ শতাংশ ছাড় পান। ১০০ টাকা খরচ হয়। যদি কোনও জিনিসে ১০০ টাকা খরচ হয়, তাহলে সেটার দাম কত হওয়া উচিত? ১০০ টাকার বেশি হওয়া উচিত। ১০৫ টাকা হয়, ১১০ টাকা হয়। কিন্তু রেলওয়ে আপনার থেকে ৪৫ টাকা নেয়।”