প্রথম পাতা রাজ্য দেশ আন্তর্জাতিক শিক্ষা রাজনীতি লাইফস্টাইল

Railway: খুলে যাবে সিকিমের দরজা, নতুন এই রেলপথে গ্যাংটক পৌঁছানো হবে আরো সহজ

কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত বিস্তৃত ভারতীয় রেলের নেটওয়ার্ক। প্রায় প্রতিদিনই দেশজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ ট্রেনের মাধ্যমে পৌঁছে যান নির্দিষ্ট গন্তব্যে। আর এবার এই সুবিশাল রেল ব্যবস্থাকে সাজিয়ে তুলতে যেমন ট্রেনের…

Published By: Debaprasad Mukherjee | Published On:

কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত বিস্তৃত ভারতীয় রেলের নেটওয়ার্ক। প্রায় প্রতিদিনই দেশজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ ট্রেনের মাধ্যমে পৌঁছে যান নির্দিষ্ট গন্তব্যে। আর এবার এই সুবিশাল রেল ব্যবস্থাকে সাজিয়ে তুলতে যেমন ট্রেনের গতি বাড়াতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, তেমনই ট্রেনের স্টেশনগুলিকে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে অনন্য রূপে। রেলকে অন্য আঙ্গিকে দেশবাসীর কাছে তুলে ধরতে যেমন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মতো সেমি-হাইস্পিড ট্রেন চালু করা হয়েছে, তেমনই আবার ট্রেনের ট্র্যাকগুলিকে নবরূপে গঠন করা হচ্ছে কোনরূপ দুর্ঘটনা এড়াতে।

এর পাশাপাশি, দেশের স্টেশনগুলিকে সাজিয়ে তুলতে অমৃত ভারত স্কিম চালু হচ্ছে গোটা দেশে। ভারতীয় রেলের এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের সব স্টেশনকে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে অন্যরূপে। অত্যাধুনিক পরিষেবা দেওয়ার পাশাপাশি যাত্রীদের সুবিধার্থে নানা ব্যবস্থা চালু হচ্ছে স্টেশনে স্টেশনে। এককথায় প্রাচীন ভারতীয় রেলকে নতুন আঙ্গিকে সাজিয়ে তুলতে নানা সব পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারতীয় রেল। আর এবার এল এক বড় সুখবর।

অনেকেই হানিমুন ডেস্টিনেশন বা হলিডে ডেস্টিনেশন হিসেবে বেছে নেন সিকিমকে। তবে এতদিন সিকিম অবধি যাওয়ার জন্য কোনো রেল যোগাযোগ তৈরি হয়নি। সেই কারণেই পর্যটকদের সিকিম যেতে হলে হয় নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নামতে হয়, যা সিকিম থেকে ১৮৭ কিমি দূরে। এছাড়াও শিলিগুড়ি স্টেশনে নামলেও অতিরিক্ত ১৪৬ কিমি পথ যেতে হয়। তবে এবার ভারতীয় রেলের বিস্তার করে হচ্ছে সিকিমের রংপো অবধি, যা পর্যটকদের দারুন সুবিধা দিতে চলেছে। জানা গেছে, অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের আওতায় এই রংপো স্টেশনটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এই লাইনের মাঝে টানেল নির্মাণের কাজও প্রায় শেষের মুখে।

জানা গেছে, প্রথম পর্যায়ে সিভক থেকে রংপো, দ্বিতীয় পর্যায়ে রংপো থেকে গ্যাংটক এবং তৃতীয় পর্যায়ে গ্যাংটক থেকে নাথুলা পর্যন্ত রেল লাইন তৈরি করা হবে। উল্লেখ্য, এই কাজ অনুমোদিত হয় ২০২২ সালে। মোট ৪৪.৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই লাইনে তৈরি হচ্ছে সেবক, রিয়াং, মেল্লি ও রংপোর মতো স্টেশন। এছাড়াও জানা গেছে, এই লাইনের মোট মধ্যে ৩৮.৬৫ কিমি টানেল, ২.২৪ কিমি সেতু এবং ৪.৭৯ কিমি স্টেশন ইয়ার্ডের খোলা কাটা/ভরাট রয়েছে। রেল সূত্রে জানা গেছে, এই লাইনে মোট ১৪ টি টানেল রয়েছে, যার মধ্যে ৫.৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেল এবং ক্ষুদ্রতম টানেলটি ৫৩৮ মিটার।