অযোধ্যার রামমন্দির উদ্বোধনের আর এক পক্ষকালও বাকি নেই। আগামী ২২ শে জানুয়ারি খুলে যাবে বিশ্বের সবথেকে হর এই মন্দিরের দরজা। ইতিমধ্যে গোটা অযোধ্যা শহরজুড়ে শুরু হয়েছে উৎসব। ভজন-কীর্তন-সহ বিশেষ অনুষ্ঠান চলছে রামলালার জন্মভূমিতে। প্রস্তুতি প্রায় শেষের মুখে দাঁড়িয়ে। দেশের নানা প্রান্ত থেকে আনা নানা জিনিস দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে এই মন্দির। ভারতের রাম ভক্তরা এই মুহূর্তে উদ্বোধনের বিশেষ দিনটির জন্য প্রহর গুনছেন। একইভাবে বিশ্বমানের এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছে রাম মন্দির ট্রাস্ট।
তবে এই রাম মন্দির তৈরির কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালে। সুপ্রিম কোর্টের রায়দানের পরেই শুরু হয় মন্দির তৈরির কাজ। তবে মন্দিরের জন্য অনুদান নেওয়া শুরু হয় মন্দির নির্মাণের কাজ শুরুর ২ বছর পর। ২০২১ সাল থেকে শুরু হয় মন্দিরের জন্য অনুদান নেওয়া ও দেওয়ার কাজ। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে বিপুল টাকা জমা পড়েছে অনুদান হিসেবে। জানা গেছে, এখনো অবধি এই অনুদানের টাকার পরিমাণ ছাড়িয়ে গেছে ৫০০০ কোটি টাকার গন্ডি। এই সব টাকা ঢুকছে রাম মন্দির ট্রাস্টের একটি বিশেষ অ্যাকাউন্টে।
কিন্তু কে কত টাকা অনুদান দিয়েছেন? এবার সেই তালিকা প্রকাশ্যে এল। জানা গেছে, রাম মন্দিরের জন্য অনুদান দেওয়া শুরু করেন দেশের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তিনি দেশের প্রথম নাগরিক হিসেবে ৫ লক্ষ ১০০ টাকার অনুদান দেন। তারপর দেশ বিদেশ থেকে অনুদান জমা শুরু হয়। পাশাপাশি, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং আরএসএস কর্মীরাও দেশের নানা স্থানে ঘুরে ঘুরে অনুদান আদায় করেছেন। এছাড়াও কানাডা, আমেরিকার মতো দেশ থেকে ইতিমধ্যে আদায় হয়েছে ৮ কোটি টাকার অনুদান। প্রতি মাসে ১ কোটি টাকার অনুদান ঢুকছে বলে জানা গেছে।
তবে এখনো অবধি সবথেকে বেশি অনুদান দিয়েছেন ধর্মগুরু মোরারি বাপু। তিনি মোট ১১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার অনুদান দিয়েছেন। এছাড়াও গুজরাটের এক হিরে ব্যবসায়ী দিয়েছেন ১১ কোটি টাকার অনুদান। হিরে ব্যবসায়ী গোবিন্দভাই ঢোলাকিয়া দিয়েছেন এই বিপুল পরিমাণ টাকা। এছাড়াও আরও অনেক হিরে ব্যবসায়ী অনেক টাকার অনুদান দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন মহেশ কবুতরওয়ালা। তিনি দিয়েছেন ৫ কোটি টাকা। এছাড়াও লোভেজি বাদশা দিয়েছেন ১ কোটি টাকার অনুদান এবং প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীর দিয়েছেন ১ কোটি টাকার অনুদান।