আর মাত্র কয়েকঘন্টা। তারপরেই রামরাজ্য অযোধ্যার বুকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবেন ভগবান রাম। ইতিহাস বলছে, প্রায় ৫০০ বছর পর অযোধ্যায় পুণ্যভূমিতে প্রত্যাবর্তন ঘটছে ভগবান রামের। দীর্ঘ ঐতিহাসিক লড়াইয়ের পর অবশেষে নির্মাণ হয়েছে রাম মন্দিরের। আর এবার অপেক্ষার শেষ প্রহর গোনার পালা। কারণ আজই উদ্বোধন হবে রাম মন্দিরের। একইসঙ্গে আজ রামলালার ভব্য মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে। যদিও সাতদিন আগে থেকেই রাম মন্দিরে শুরু হয়েছে বিশেষ উপাচার। দ্বাদশ অধিবাস শেষ হয়েছে। এখন রাম রাজ্য অযোধ্যায় চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। তাই এখন অযোধ্যার পাশাপাশি গোটা ভারতবর্ষ যেন প্রহর গুনছে ভগবান রামের প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের।
আজ রাম মন্দিরের উদ্বোধন করবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বলা চলে, আজকের অনুষ্ঠানে তিনিই মধ্যমনি। তবে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংস্থার প্রধান মোহন ভগবত সহ বলিউডের অনেক অভিনেতা অভিনেত্রী, দেশের স্বনামধন্য অনেক শিল্পপতি, দেশের একাধিক ক্রিকেটার ও ক্রীড়াবিদ সহ অনেক বিশিষ্ঠ অতিথি। সর্বমোট ১১ হাজার অতিথি আজ আমন্ত্রিত হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। তারা রাম মন্দিরের উদ্বোধনের এই অনুষ্ঠান সরাসরি স্বচক্ষে দর্শন করবেন। বলে চলে, এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের তালিকাটা যেন তারকাখচিত।
আর সেই কারণেই আজ রাম জন্মভূমি অযোধ্যাকে মুড়ে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তার চাদরে। জানা গেছে, এই বিশেষ অনুষ্ঠানের জন্য ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার বলয় তৈরি করা হয়েছে রামরাজ্যে। এছাড়াও সাধারণ মানুষের ভিড় এড়াতে বিগত ২ দিনে ধরেই বন্ধ রাখা হয়েছে অযোধ্যা ধাম ও ফৈজাবাদ রেলওয়ে স্টেশন। একইসঙ্গে অযোধ্যার সব রাস্তাঘাট সিল করে দেওয়া হয়েছে। তৈরি করে হয়েছে ভিভিআইপি করিডোর। এছাড়াও আমন্ত্রিতদের প্রবেশের জন্য তৈরি করা হয়েছে বিশেষ কয়েকটি গেট, যেখানে অতন্দ্র প্রহরে রয়েছেন পুলিশ ও সংরক্ষিত সেনাকর্মীরা।
এদিকে অযোধ্যা শহরে মোতায়েন করা হয়েছে হাজার হাজার পুলিশ। একইসঙ্গে চালানো হচ্ছে ড্রোন নজরদারি। এছাড়াও অযোধ্যার প্রতিটি উঁচু বাড়ির ছাদে মোতায়েন করা হয়েছে রাইফেলধারী স্নাইপার শ্যুটারদের। জানা গেছে, অযোধ্যার নজরদারির দায়িত্বে রয়েছে CISF। এছাড়াও মন্দিরকে কেন্দ্র করে ভিআইপি জোনে নজরদারি চালাচ্ছে SSF বা Special Security Force, ATS বা Anti Terrorist Squad, কমান্ডো ও SPG বা Special Protection Group। পাশাপাশি, মন্দির চত্বরের বাইরের অংশে নিরাপত্তায় রয়েছে SSF, র্যাফ ও উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এছাড়াও লখনউ থেকে অযোধ্যা পর্যন্ত ৩৬ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি, নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে লখনউ-সহ ৬টি বিমানবন্দরে।