দেশের সবথেকে বড় গণ পরিবহণ মাধ্যম হল রেল। নিত্য দিন কোটি কোটি মানুষ নির্ভরশীল ভারতীয় রেলের উপর। পাশাপাশি দেশের কোণায় কোণায় ছড়িয়ে গিয়েছে রেল পরিষেবা। যা আরও বিস্তারের কাজ চলছে। তাই ভারতীয় রেলকে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রেলওয়ে নেটওয়ার্ক-এর তকমা দেওয়া হয়। যার পুরো ট্র্যাকের দৈর্ঘ্য ৬৭ হাজার ৩৬৮ কিমি। ভারতীয় রেলের ট্র্যাক বিশাল ১১৫,০০০ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত এবং এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম নেটওয়ার্ক, যা একক ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয়।
ভারতীয় রেখে যেমন রয়েছে প্রাচীনতা, তেমনই রয়েছে বৈচিত্র। লোকাল, এক্সপ্রেস, সুপারফাস্ট, সেমি হাইস্পিড সহ একাধিক ধরণের ট্রেন চলে ছোট ও বড় রুটে। আর এখন ভারতের সব স্টেশনকে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে নতুনভাবে। অমৃত ভারত স্টেশন স্কিমের আওতায় এই কাজ চলছে দেশজুড়ে। একইসঙ্গে রেল ট্র্যাক নির্মাণ ও পুনঃণবিকরণের কাজ চলছে বিভিন্ন রুটে। এককথায় প্রাচীন ভারতীয় রেলকে নতুন আঙ্গিকে সাজিয়ে তুলতে নানা সব পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারতীয় রেল। আর এবার এল এক বড় সুখবর।
অনেকেই হানিমুন ডেস্টিনেশন বা হলিডে ডেস্টিনেশন হিসেবে বেছে নেন সিকিমকে। হিমালয়ের উপর অবস্থিত এটি ভারতের এমন এক রাজ্য, যেখানে পর্যটকদের সংখ্যাটা লক্ষ্যনীয়। তবে এতদিন সিকিম অবধি যাওয়ার জন্য কোনো রেল যোগাযোগ তৈরি হয়নি। সেই কারণেই পর্যটকদের সিকিম যেতে হলে হয় নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নামতে হয়, যা সিকিম থেকে ১৮৭ কিমি দূরে। এছাড়াও শিলিগুড়ি স্টেশনে নামলেও অতিরিক্ত ১৪৬ কিমি পথ যেতে হয়। তবে এবার ভারতীয় রেলের বিস্তার করে হচ্ছে সিকিমের রংপো অবধি, যা পর্যটকদের দারুন সুবিধা দিতে চলেছে।
জানা গেছে, অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের আওতায় এই রংপো স্টেশনটি নির্মাণ করা হচ্ছে। জানা গেছে, প্রথম পর্যায়ে সিভক থেকে রংপো, দ্বিতীয় পর্যায়ে রংপো থেকে গ্যাংটক এবং তৃতীয় পর্যায়ে গ্যাংটক থেকে নাথুলা পর্যন্ত রেল লাইন তৈরি করা হবে। উল্লেখ্য, এই কাজ অনুমোদিত হয় ২০২২ সালে। মোট ৪৪.৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই লাইনে তৈরি হচ্ছে সেবক, রিয়াং, মেল্লি ও রংপোর মতো স্টেশন। এছাড়াও জানা গেছে, এই লাইনের মোট মধ্যে ৩৮.৬৫ কিমি টানেল, ২.২৪ কিমি সেতু এবং ৪.৭৯ কিমি স্টেশন ইয়ার্ডের খোলা কাটা/ভরাট রয়েছে। রেল সূত্রে জানা গেছে, এই লাইনে মোট ১৪ টি টানেল রয়েছে, যার মধ্যে ৫.৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেল এবং ক্ষুদ্রতম টানেলটি ৫৩৮ মিটার।