আগামীকাল সংসদ ভবনে পেশ হবে আগামী অর্থবর্ষের অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট। ইতিমধ্যে, এই বাজেট অধিবেশনের সূচনা ঘটে গিয়েছে। আর বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে এই বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। যদিও দেশের পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ হয় জুলাইয়ে। তবে সেই বাজেটের রূপরেখা হিসেবে ধরা এই অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটকে। আর সেটিই এবার হতে চলেছে লোকসভায়। আর এই বাজেট পেশ হওয়ার আগে ইতিমধ্যে দেশজুড়ে বাজেট নিয়ে নানা চর্চা চলেছে। বাজেটে কোন খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হবে, কোন খাতে কমবে বরাদ্দ, কারা উপকৃত হবেন, এই নিয়ে চলছে বিস্তার আলোচনা।
আর এবার বাজেট পেশ করার আগের দিন অর্থাৎ বুধবার সংসদ ভবনের সামনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সংসদের বিরোধীদলীয় সদস্যদের সংসদে নিয়মানুবর্তিতা বজায় রাখার আবেদন জানান প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে তিনি বিরোধী নেতাদের নিজেদের বিশ্লেষণ করার কথা বলে খোঁচা দেন তার বক্তব্যের মাধ্যমে। এদিন মোদি বলেন, “সংসদ অধিবেশনকে পণ্ড করার অভ্যাস গড়ে তুলেছেন অনেকে। তাঁদের আত্মবিশ্লেষণ করা উচিত।” এর মাধ্যমে যে তিনি বিরোধীদের খোঁচা দিলেন, তা স্পষ্টত বোঝা গেল।
একইসঙ্গে এদিন প্রধানমন্ত্রী এই বাজেটে নারী শক্তির প্রভাব বোঝাতে বললেন কিছু কথা। মূলত, তিনি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে তুলে ধরেন। এদিন মোদি বলেন, “রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু পথ দেখাবেন আর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বাজেট পেশ করবেন। এখানেই নারী শক্তির কতটা শক্তিশালী, তা দেখা গিয়েছে।” এছাড়াও আগামীর পূর্ণাঙ্গ বাজেট প্রসঙ্গে মোদী বলেন, “লোকসভা নির্বাচনের সময় এগিয়ে আসছে। তাই অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করা হয়। আমরাও সেই রীতি অনুসরণ করছি। ভোটের পর সরকার গঠন হলে আমরা পূর্ণাঙ্গ বাজেট নিয়ে আসব।”
তবে এদিন প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বিরোধীদের সংসদে হট্টগোল করার বিষয়ে রীতিমতো তুলধনা করেন এই বিষয়ে মোদি বিস্তারে বলতে গিয়ে বলেন, “গত দশ বছরে কিছু মানুষ পার্লামেন্ট এমন ভাবে পরিচালনা করেছে যা তাদের উপযুক্ত মনে হয়েছে। কিছু সংসদ সদস্য সংসদের কার্যধারা ব্যাহত করা নিজেদের অভ্যাসে পরিণত করেছেন। তাদের আত্মবিশ্লেষণ করা উচিত। এই সংসদ সদস্যরা তাদের নির্বাচনী এলাকার লোকদের জিজ্ঞাসা করতে পারেন। কেউ কেউ এই এমপিদের নামও জানেন না এবং তারা কী করেছিলেন তা মনেও করতে পারেন না। যে সব সাংসদরা সংসদে ঝামেলা বাঁধিয়েছিলেন, তাঁদের কেউ মনে রাখবে না। তাঁরা অভ্যাসবশত গণতান্ত্রিক মূল্য়বোধকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছেন। তাঁরা এবার নিজেদের দিকে তাকান ৷ ভাবুন, সাংসদ থাকাকালীন তাঁরা কী করেছেন। যাঁরা ভালো কাজ করেছেন, তাঁদের সবাই মনে রাখবে। কিন্তু যাঁরা কাজে ব্যাঘাত ঘটিয়েছেন, তাঁদের কেউ মনে রাখবে না। এই বাজেট অধিবেশন সেই সব সাংসদদের কাছে অনুশোচনার সুযোগ এনে দিয়েছে। এবার তাঁরা তাঁদের সবচেয়ে ভালোটা করে দেখাক।”