স্বাধীনতার পর ভারতে একাধিকবার দুর্ভিক্ষ হয়েছে। আর তখন থেকে দেশে খাদ্যাভাব দূর করতে যুগান্তকারী রেশন ব্যবস্থার সূচনা ঘটে দেশেও। আর এখনো অবধি ভারতের প্রতিটি রাজ্যেই রেশন কার্ড রয়েছে এমন প্রত্যেক নাগরিক মাসে মাসে সরকারের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাদ্যশস্য পেয়ে থাকেন। রেশন কার্ড থাকলে সেই কার্ডের ভিত্তিতে নির্ধারিত খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয় স্থানীয় রেশন দোকান থেকে। তবে সবার ক্ষেত্রে সমান খাদ্যদ্রব্য বণ্টন করা হয় না। কোন গ্রাহক কত পরিমানে খাদ্য শস্য পাবেন তা ঠিক হবে তাঁর রেশন কার্ডের ধরণের উপর।
বে এখনো অনেকেই রয়েছেন যাদের রেশন কার্ড নেই। তারা এটা ভেবেই রেশন কার্ড তৈরি থেকে পিছিয়ে আসেন যে সরকারি কাজে অনেক সময় লাগবে। তবর আজ আপনাদের এমন একটি পদ্ধতি জনাবো, যার মাধ্যমে বাড়িতে বসেই রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন আপনি। তবে এই নিয়ম শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দাদের জন্যই প্রযোজ্য। জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা আইনের অধীনে পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমের মাধ্যমে এই উপায়ে রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন। একনজরে দেখে নিন পদ্ধতি।
● রেশন কার্ডের জন্য আবেদের পদ্ধতি: অনলাইনে আবেদনের জন্য প্রথমেই মোবাইল বা কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থেকে প্রথমে উত্তরপ্রদেশের রাজ্যে সরকারের সরকারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://fcs.up.gov.in-তে গিয়ে হোমপেজে যাওয়া ফর্ম ডাউনলোড বিকল্পে ক্লিক করতে হবে। সেখানে বিভিন্ন ধরণের ফরম সামনে আসবে। সেখওনে থেকে সঠিক ফর্ম পিডিএফ আকারে ডাউনলোড করতে হবে। র্বার এই ফর্মে দেওয়া সমস্ত তথ্য নির্ভুলভাবে পূরণ করতে হবে। ফর্ম পূরণ করার পরে, আপনাকে আঞ্চলিক CSC কেন্দ্রে যেতে হবে এবং এই ফর্মটি জমা দিতে হবে। রেশন কার্ডের জন্য আবেদনের ফি ৫ টাকা থেকে ৪৫ টাকা অবধি। আর এই ফর্ম দেওয়ার পর সেটি যাচাই হবে ৩০ দিন ধরে। তারপর সব ঠিকঠাক থাকলে ৩০ দিন পর আবেদনকারীর নতুন রেশন কার্ড ইস্যু হয়ে যাবে।
● রেশন কার্ডের আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় নথি: এই ফর্ম জমা ফিতে হলে সঙ্গে বেশ কিছু নথি জমা দিতে হবে। নিম্নলিখিত নথির স্ব-প্রত্যয়িত প্রতিলিপি জমা দিতে হবে। যে নথিগুলি এক্ষেত্রে লাগবে সেগুলি হল, আধার কার্ড বা ভোটার আইডি কার্ড, ঠিকানার প্রমাণপত্র বা বিদ্যুৎ বিল বা জলের বিল, মোবাইল নম্বর, আবেদনকারীও যার পরিবারের সদস্যদের পাসপোর্ট সাইজের ছবি, প্যান কার্ড, আয়ের শংসাপত্র, ব্যাঙ্কের পাসবই এবং গ্যাস সংযোগের বিবরণ।