প্রথম পাতা রাজ্য দেশ আন্তর্জাতিক শিক্ষা রাজনীতি লাইফস্টাইল

Amrit Bharat Express: বাংলায় দ্বিতীয় অমৃত ভারত এক্সপ্রেস! কোন স্টেশন থেকে ছাড়বে এই হাইস্পিড ট্রেন

স্বাধীনতার আগে থেকেই ভারতীয় রেল আমাদের দেশের গণপরিবহণ ব্যবস্থায় এক অন্যতম ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রায় প্রতিদিনই দেশজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ ট্রেনের মাধ্যমে পৌঁছে যান নির্দিষ্ট গন্তব্যে। যাত্রী পরিবহন থেকে…

Published By: Debaprasad Mukherjee | Published On:

স্বাধীনতার আগে থেকেই ভারতীয় রেল আমাদের দেশের গণপরিবহণ ব্যবস্থায় এক অন্যতম ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রায় প্রতিদিনই দেশজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ ট্রেনের মাধ্যমে পৌঁছে যান নির্দিষ্ট গন্তব্যে। যাত্রী পরিবহন থেকে শুরু করে দৈর্ঘতার নিরিখে ভারতীয় রেল বিশ্বে চতুর্থ স্থান দখল করে। সুদূর জম্মু থেকে কন্যাককুমারী, আসাম থেকে রাজস্থান- সর্বত্র বিছিয়ে রয়েছে রেলের যোগাযোগ। আর এই বিশাল দেশে রেল ব্যবস্থা চালু রয়েছে বছরের সবকটি দিনই।

ভারতীয় রেলে অনেক ধরণের ট্রেন চলে। সাধারণ পরিবহনের জন্য যেমন রয়েছে লোকাল বা এক্সপ্রেস ট্রেন, তেমনই আবার ভারতীয় রেল এমন কিছু ট্রেন চালায়, যা বিলাসবহুল হয় এবং সেগুলি একটি বিশেষ রুটেই চলে। তবে এখন বুলেট ট্রেনকে এখন টক্কর দিচ্ছে সম্পূর্ণভাবে দেশীয় প্রযুক্তিতে ভারতে তৈরি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। তবর এবার বন্দে ভারতের পাশাপাশি ‘অমৃত ভারত এক্সপ্রেস’ নামের একটি সেমি হাইস্পিড ট্রেন চলছে দেশে। কয়েকমাস আগেই, এই ট্রেনের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত ৭ ই জানুয়ারি থেকে নিয়মিত চলছে এমন একজোড়া ট্রেন। যার মধ্যে একটি ট্রেন চলে বাংলা থেকেও। মালদা থেকে বেঙ্গালুরু যায় এই ট্রেন।

যাত্রাপথের শুরুতেই বাংলাকে এই ট্রেন উপহার দিয়েছে ভারতীয় রেল। দেশের অন্যান্য রাজ্যের কোনো প্রান্তিক স্টেশনে এই ট্রেন এখনো যায়নি। তবে উত্তর বঙ্গের মালদা স্টেশন থেকে ছাড়ে অমৃত ভারত এক্সপ্রেস। আর এবার আর একটি সুখবর আসছে বলে জানা গেছে। কারণ এবার উত্তরবঙ্গের আরেকটি স্টেশন থেকেও চলতে পারে অমৃত ভারত এক্সপ্রেস। জানা গেছে, বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বালুরঘাট থেকে একটি অমৃত ভারত ট্রেন চালানোর আর্জি জানিয়েছেন রেলমন্ত্রীকে। তিনি সেই আর্জি মেনেও নিয়েছেন বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, বালুরঘাট থেকে দক্ষিণ ভারতের কোনো স্টেশনে যাবে এই নতুন ট্রেন। তবে রেল এখনো এই বিষয়ে কিছুই জানায় নি।

জানা গেছে, অমৃত ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনটি এটি রাজধানী এক্সপ্রেসের সমতুল্য। এই ট্রেনে মোট ২২টি কোচ থাকছে। সেইসঙ্গে থাকছে হাইটেক টয়লেট, মোবাইল চার্জিং, স্বয়ংক্রিয় দরজা, অত্যাধুনিক জানালা ও দরজা, মোবাইল চার্জার, হোল্ডার এবং পাবলিক ডিসপ্লে সিস্টেম। এছাড়াও এই ট্রেনে যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য লাগানো হয়েছে সিসিটিভি। জানা গেছে, এই ট্রেন পুশ পুল প্রযুক্তিতে চলছে। অর্থাৎ ট্রেনের দুদিকেই রয়েছে ডব্লিউএপি-৫ ইঞ্জিন।