গত বছরের রাখি পূর্ণিমার আগে সারা দেশে ২০০ টাকা করে প্রতি সিলিন্ডারে কমছে রান্নার গ্যাসের দাম। তবে যেহেতু উজ্জ্বলা যোজনার অন্তর্গত গ্যাস সিলিন্ডার আগে থেকেই ২০০ টাকা কম দামে পাওয়া যেত, তেই সেই সিলিন্ডার এখন মোট ৪০০ টাকা সাশ্রয়ে পাওয়া যাচ্ছে। লোকসভা ভোটের আগে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত দেশবাসীর কাছে অনেকটাই স্বস্তি বয়ে এনেছে। একইসঙ্গে ২০২৩-এর মাঝামাঝি সময়ে কমেছিল কমার্শিয়াল গ্যাস সিলিন্ডারের দামও। কিন্তু সেই মূল্যহ্রাস বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। কারণ ফেব্রুয়ারির শুরু থেকেই কমার্শিয়াল গ্যাসের দাম বেড়েছে গোটা দেশে।
এদিকে লোকসভা ভোটের আগে বিরোধীরা যাতে রান্নার গ্যাসের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নিয়ে কেন্দ্রকে খোঁচা না দিতে পারে, তার জন্য আগেভাগে গ্যাসের দাম কমিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু গ্যাসের দাম নিয়ে বাড়বাড়ন্ত যেন কমতেই কমছে না। আর এই মূল্যবৃদ্ধি বেশি করে চোখে পড়তে শুরু করে করোনাকালীন সময়ের পর থেকেই। কারণ এই সময়ে দেশের ডোমেস্টিক গ্যাস সিলিন্ডারের উপর ভর্তুকি তুলে দেয় সরকার। তারপর থেকেই আর রান্নার গ্যাসের ভর্তুকি চালু হয়নি ভারতে। তবে এবার এই বিষয়টি নিয়ে ভাবতে পারে সরকার।
মনে করা হচ্ছে যে এবার থেকে ভারতে ফের রান্নার গ্যাসের ডোমেস্টিক সিলিন্ডারের উপরে ভর্তুকি দেওয়া শুরু করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। জানা গেছে, শীঘ্রই রান্নার গ্যাসের উপর ভর্তুকি চালু করতে পারে সরকার। তবে এর জন্য কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের খরচ বাড়তে পারে। কিন্তু এই খরচ নিবারণের জন্য একটি ভালো উপায় বের করতে চলেছে সরকার। জানা গেছে, এবার থেকে লোহার পরিবর্তে কম্পোজিট সিলিন্ডারের ব্যবহার করতে পারে কেন্দ্র। যদিও এই মর্মে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
এদিকে লোকসভা ভোটের মুখে সেই ইস্যু নিয়ে ফের সরব হতে দেখা গেল তৃণমূল কংগ্রেসকে। এবার তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গ্যাসের দাম কমানোর বিষয়টিকেও বিজেপির ইলেকশন ক্যাম্পেইন বলে অভিযোগ করলেন। মমতা বলেন, “গ্যাসের দাম কত বেড়েছিল? ১,১০০-র কাছে ছিল। ইলেকশন বলে ২০০ কমিয়েছে। আরও ২০০ কমাবে। তারপর যেই ইলেকশন হয়ে যাবে, ওমনি ৮০০ টাকা বাড়িয়ে দেবে। গ্যাস কিন্তু গ্যাস বেলুন হয়ে যাবে। চুলোতে যে রান্না করবেন, কেরোসিন কোথায় পাবেন? কেরোসিনের দামও বাড়িয়ে দিয়েছে। আবার আপনাদের ঘুঁটে, কাঠকয়লা বানাতে হবে। তাই দিয়ে রান্না করতে হবে।”