প্রথম পাতা রাজ্য দেশ আন্তর্জাতিক শিক্ষা রাজনীতি লাইফস্টাইল

Ram Mandir: মহাকাশ থেকেও দেখা গেল রামলালার মন্দিরকে, দেশবাসীকে এই ছবি উপহার দিল ISRO

দীর্ঘ পাঁচ শতাব্দী পর ফের রাম জন্মভূমি অযোধ্যার বুকে প্রতিষ্ঠিত হলেন ভগবান শ্রী রাম। সোমবার অভিজিৎ মুহূর্তে ভগবান রামের মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন বেলা ১২…

Published By: Debaprasad Mukherjee | Published On:

দীর্ঘ পাঁচ শতাব্দী পর ফের রাম জন্মভূমি অযোধ্যার বুকে প্রতিষ্ঠিত হলেন ভগবান শ্রী রাম। সোমবার অভিজিৎ মুহূর্তে ভগবান রামের মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন বেলা ১২ টা বেজে ২৯ মিনিটে বিশেষ মন্ত্রপাঠের মাধ্যমে উদ্বোধন হয় রাম মন্দিরের। সেই সঙ্গে ফাম ভক্তদের ভক্তির সুনামি ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে। দেশের প্রায় সব রাজ্যেই এদিন পরিস্থিতি ছিল উৎসবমুখর। দেশবাসী বাড়িতেও এই রাম মহোৎসব পালন করেছেন ওইদিন। এককথায়, রাম মন্দিরের উদ্বোধন অযোধ্যায় হলেও দেশের কোটি কোটি মানুষের মনে এক অনন্য অনুভূতির প্রকাশ ঘটিয়েছে এই বিশেষ অনুষ্ঠান।

আজ থেকেই সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য খুলে গিয়েছে রাম মন্দিরের দরজা। অনেকেই রাম মন্দিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করে নিয়েছেন ইতিমধ্যে। কিন্তু সেখানে গেলে ভিড় থেকে প্রভু রামের দর্শন করতে হবে। কিন্তু জানলে অবাক হবেন যে এবার মহাকাশ থেকেও দেখা গেল রামলালার এই ভব্য মন্দিরকে। ঠিক যেভাবে মহাশূন্য থেকে চীনের প্রাচীর দেখা যায়, সেভাবেই দর্শন মিললো ভগবান রামের জন্মভূমির উপর তৈরি এই মন্দিরকে। আর এই খবর খোদ জানিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।

সূত্রের খবর, ইসরোর একটি স্যাটেলাইট থেকে রাম মন্দিরের একটি ছবি তোলা হয়েছে। যদিও এই ছবি তোলা হয় মন্দিরের নির্মিয়মান অবস্থায়। গত ১৬ ই ডিসেম্বর এই ছবি তুলেছে ইসরোর এক নভোযান। রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তির ব্যবহারে রাম মন্দিরের এই ছবিকে তোলা হয়েছে মহাকাশ থেকে, এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। সেই ছবিতে মন্দিরের সঙ্গে প্রকাশ পেয়েছে পবিত্র সরযূ নদীর ছবিও। তবে উদ্বোধনের পর আর এই ছবি তোলা সম্ভব হয়নি। কারণ বর্তমানে কুয়াশায় ঢাকা রয়েছে অযোধ্যার আকাশ। সেই কারণে কমে গিয়েছে দৃশ্যমানতা।

প্রসঙ্গত, এই মন্দির দৈর্ঘ্যে ৩৮০ ফুট, প্রস্থে ২৫০ ফুট এবং উচ্চতায় ১৬১ ফুট। বলা বাহুল্য, ঐতিহাসিক স্থাপত্য কুতুব মিনারের থেকেও উঁচু হচ্ছে ভগবান রামের এই মন্দির। এছাড়াও রাম মন্দিরের প্রথম তলে ১৬০টি স্তম্ভ রয়েছে। দ্বিতীয় তলে ১৩২টি ও তৃতীয় তলে ৭৪টি স্তম্ভ রয়েছে। মোট পাঁচটি মণ্ডপ রয়েছও মন্দিরে। রাম মন্দিরের দেওয়ালে বসানো হয়েছে বেলেপাথর ও মার্বেল। রাজস্থান থেকে এই পাথর আনানো হয়েছে। গোটা মন্দিরে কোনও স্টিল বা ইটের ব্যবহার হবে না। জানা গেছে, নাগারার অনুকরণে মন্দিরের স্থাপত্য বা আর্কিটেকচার করা হচ্ছে, যা ব্যবহৃত হয় গুপ্ত যুগে। আর এইসব কারণেই মনে করা হচ্ছে যে কমপক্ষে হাজার বছর এই মন্দির অক্ষত অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকবে।