ভারত বিশ্বের সবথেকে জনবহুল দেশ। গত বছরই চীনকে পিছনে ফেলে শীর্ষস্থান পেয়েছে ভারত। আমাদের দেশে কোটি কোটি মানুষের বসবাস। সেই কারণেই ভারতে রয়েছে সব বৃহত্তম পরিবহন নেটওয়ার্ক। ভারতের রেল নেটওয়ার্কের সুনাম রয়েছে গোটা বিশ্বে। তবে ট্রেন ছাড়াও ভারতে অনেক গণপরিবহন ব্যবস্থা রয়েছে। তার মধ্যে বাস সার্ভিস হল অন্যতম। এছাড়াও নানা সামগ্রী পরিবহনে ছোট ও বড় বিভিন্ন ধরণের লরি চলে। আর এইসব যানবাহন চলার জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল সড়ক। কারণ সড়ক ঠিকমতো না হলে, পরিবহন ব্যবস্থার উন্নতিসাধন যে সম্ভব নয়, তা বারেবারে টের পাওয়া গেছে।
তবে দেশের সড়ক ব্যবস্থার উন্নতিসাধনের জন্য নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে বর্তমানে কেন্দ্রে আসীন সরকার। নরেন্দ্র মোদির সরকার বিগত সময়ে পরিবহন ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্ত বর্তমানে দেশের সিংহভাগ যানবাহন পেট্রোল বা ডিজেল চালিত। এর সঙ্গে সিএনজি চালিত কিছু যানবাহন রয়েছে। কিন্তু যেভাবে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম বাড়ছে এবং এইসব যানবাহন থেকে যেভাবে দূষণ ছড়াচ্ছে, তাতে করে যে খুব বেশিদিন এইসব যানবাহন চালানো যাবে না, তা মোটামুটি স্পষ্ট।
তবে এবার দেশে ইলেকট্রিক গাড়ির চলাচল বাড়াতে দেশে ইলেকট্রিক হাইওয়ে চালু করতে চলেছে কেন্দ্র সরকার। সূত্রের খবর, ভারত সরকার গোল্ডেন কোয়াড্রিল্যাটারালে এই ইলেকট্রিক হাইওয়ে নির্মাণ কিরতে চলেছে। এর মাধ্যমে দেশের প্রধান শহরগুলিকে জুড়ে দেওয়া সম্ভব হবে। উল্লেখ্য, এই গোল্ডেন কোয়াড্রিল্যাটারাল হল মুম্বই, দিল্লি, চেন্নাই ও কলকাতার সড়ক ব্যবস্থা। জানা গেছে, আগামী ৭ বছরের মধ্যে এই ধরণের ৬,০০০ কিলোমিটার হাইওয়ে চালু হয়ে যাবে দেশে। এর ফলে এই সুবিধা পৌঁছাবে কলকাতা অবধি।
তবে শুধুমাত্র, ইলেকট্রিক হাইওয়ে নির্মাণ নয়, একইসঙ্গে ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যবহার বাড়ানো হবে দেশে। সূত্রের খবর, ভিশন ২০৩০ পিএম পাবলিক ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসেস নামে এই প্রকল্পে দেশে ইলেকট্রিক বাস চালানো হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের ৮ লক্ষ পুরানো বাস বাতিল করা হবে। সেইসঙ্গে ২ লক্ষ বৈদ্যুতিক বাস রাজ্য পরিবহণ উদ্যোগের জন্য বরাদ্দ করা হবে। একইভাবে ৫,৫০,০০০ টি বাস বেসরকারি অপারেটরদের জন্য এবং ৫০,০০০ বাস টি স্কুল ও কর্মচারী পরিবহণের জন্য বরাদ্দ হবে বলে জানা গেছে। আর এই সবকটি চালানো হবে এই ইলেকট্রিক হাইওয়ের উপর দিয়েই।