ভারত বিশ্বের সবথেকে জনবহুল দেশ। গত বছরই চীনকে পিছনে ফেলে শীর্ষস্থান পেয়েছে ভারত। আমাদের দেশে কোটি কোটি মানুষের বসবাস। সেই কারণেই ভারতে রয়েছে সব বৃহত্তম পরিবহন নেটওয়ার্ক। ভারতের রেল নেটওয়ার্কের সুনাম রয়েছে গোটা বিশ্বে। তবে ট্রেন ছাড়াও ভারতে অনেক গণপরিবহন ব্যবস্থা রয়েছে। তার মধ্যে বাস সার্ভিস হল অন্যতম। এছাড়াও নানা সামগ্রী পরিবহনে ছোট ও বড় বিভিন্ন ধরণের লরি চলে। আর এইসব যানবাহন চলার জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল সড়ক। কারণ সড়ক ঠিকমতো না হলে, পরিবহন ব্যবস্থার উন্নতিসাধন যে সম্ভব নয়, তা বারেবারে টের পাওয়া গেছে।
তবে দেশের সড়ক ব্যবস্থার উন্নতিসাধনের জন্য নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে বর্তমানে কেন্দ্রে আসীন সরকার। নরেন্দ্র মোদির সরকার বিগত সময়ে পরিবহন ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশের বুকে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন সব এক্সপ্রেসওয়ে। আর এবার লোকসভা ভোটের আগেই উদ্বোধন হচ্ছে এমন এক সড়কের, যেখানে মিলবে আন্তর্জাতিক মানের সব সুবিধা। কথস বলছি দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়েকে নিয়ে। বহু প্রতীক্ষিত এই আধুনিক সড়কের উদ্বোধন হচ্ছে সোমবার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উদ্বোধন করবেন এই সড়কের।
বহুদিন ধরেই হরিয়ানাবাসীর কাছে প্রতীক্ষিত ছিল এই সড়ক। জানা গেছে, এটি ভারতের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হতে চলেছে। সেই কারণেই এই সড়কের উদ্বোধনের পর যেমন বাগে আসবে যানজট, তেমনই বাড়বে পরিবহন ব্যবস্থার গতি। সূত্রের খবর, দুটি ভাগে বিভক্ত রয়েছে এই দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ে। প্রথমটি হল দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্ত থেকে বাসাই অবধি, যার দৈর্ঘ্য ১০.২ কিলোমিটার। দ্বিতীয় ভাগটি রয়েছে বাসাই থেকে খেরকি দৌলা বা ক্লোভারলিফ ইন্টারচেঞ্জ অবধি, যার দৈর্ঘ্য ৮.৭ কিমি কিলোমিটার। সব মিলিয়ে এই এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৯ কিলোমিটার।
জানা গেছে, আন্তর্জাতিক মানের এই এক্সপ্রেসওয়েটি তৈরি করতে প্রায় ৪,১০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে পরিবহন মন্ত্রকের। আট লেনের এই এক্সপ্রেসওয়েতে থাকবে চারটি মাল্টি লেভেল ইন্টারচেঞ্জ। সেগুলি হল টানেল বা আন্ডারপাস, এট-গ্রেড রোড সেকশন, এলিভেটেড ফ্লাইওভার এবং ফ্লাইওভারের উপরে আরেকটি ফ্লাইওভার। জানা গেছে, এই সড়ক খুলে গেলে যেমন দিল্লির দ্বারকা সেক্টর ২৫-এ ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে সরাসরি পৌঁছানো যাবে, তেমনই আবার এটিদ্বারকা সেক্টর – ৮৮, ৮৩, ৮৪, ৯৯, ১১৩ কে সেক্টর -২১ এর সঙ্গে সংযুক্ত করবে। জানা গেছে, এই উন্নতমানের সড়কে থওকবে আধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং স্বয়ংক্রিয় ট্রোল ব্যবস্থা।