প্রথম পাতা রাজ্য দেশ আন্তর্জাতিক শিক্ষা রাজনীতি লাইফস্টাইল

Vishnu Idol: হুবুহু রামলালা! কৃষ্ণা নদীর জলে পাওয়া গেল আশ্চর্যজনক এই বিষ্ণুমূর্তি

গত জানুয়ারি মাসের ২২ তারিখ অযোধ্যার নবনির্মিত রাম মন্দিরে অর্যান প্রতিষ্ঠা করা হয় রামলালার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ভব্য মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন। এই মূর্তি থেকে বিশ্বাস ও আধ্যাত্মিকতার আভাস…

Published By: Debaprasad Mukherjee | Published On:

গত জানুয়ারি মাসের ২২ তারিখ অযোধ্যার নবনির্মিত রাম মন্দিরে অর্যান প্রতিষ্ঠা করা হয় রামলালার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ভব্য মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন। এই মূর্তি থেকে বিশ্বাস ও আধ্যাত্মিকতার আভাস স্পষ্টভাবে দেখা যায়। যা প্রথম দর্শনেই রাম ভক্তদের আকৃষ্ট করে। ভগবান রামের কপালে লাগানো তিলক সনাতন ধর্মের মাহাত্ম্য দেখায়। মূর্তিটিতে সূর্য, ওম, গণেশ, চক্র, শঙ্খ, গদা, স্বস্তিক এবং হনুমানের মূর্তি রয়েছে। ভাস্কর অরুণ যোগীরাজ রামলালার এই মূর্তিটিকে দিব্য করে তুলেছেন। কিন্তু এই মূর্তি উত্তরভারতের অন্যান্য সব রামের মূর্তির থেকে কিছুটা আলাদা। অনেকটা দক্ষিণ ভারতের মতো রূপদান করা হয়েছে রামলালার ভব্য মূর্তিকে।

আর এবার কাকতলীয়ভাবে একইরকমের একটি প্রাচীন মূর্তি উদ্ধার হল দক্ষিণ ভারত থেকে। সম্প্রতি, তেলেঙ্গানা সীমান্ত লাগোয়া কর্ণাটকের কৃষ্ণা নদীর বক্ষস্থল তর্কে উদ্ধার হয় একটি প্রাচীন মূর্তি। প্রাচীন বিষ্ণুমূর্তির সঙ্গে একটি প্রাচীন শিবলিঙ্গ উদ্ধার হয় একই স্থান থেকে। কর্ণাটকের রায়চুরে একটি সেতু নির্মাণের সময় এই দুটি মূর্তি উদ্ধার করেন একজন মাঝি। তিনি তারপর আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার হাতে তুলে দেন মূর্তি দুটি। কিন্তু এই মূর্তি দেখে অবাক অনেকেই। কারণ রামলালার মূর্তির সকনগে কাকতালীয়ভাবে কিছু মিল রয়েছে এই বিষ্ণু মূর্তির।

ঠিক কি কি মিল রয়েছে এই বিষ্ণু মূর্তি ও রামলালার মূর্তির মধ্যে? এই বিষয়ে মূর্তি বিশেষজ্ঞ ডক্টর পদ্মজা দেশাই বলেন যে, এই বিষ্ণু মূর্তিটিও নাকি রামলালার মূর্তির মতোই একটি পাথরকে খোদাই করে বানানো হয়েছে। একইসঙ্গে রামলালার মূর্তির মতোই এই মূর্তির চারপাশে খোদাই করা হয়েছে বিষ্ণুর দশ অবতারকে। কারণ এই মুর্তিতেও স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে মৎস্য, কূর্ম, বরাহ, নরসিংহ, বামন, রাম, পরশুরাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ এবং কল্কি অবতারের পট চিত্র। তবে এই মূর্তির উপরে গরুড়কে চিত্রিত করা হয়নি। বাকি সম্পূর্ণটাই রামলালার মূর্তির আদলে গড়া।

কিন্তু কতটা প্রাচীন এই বিষ্ণু মূর্তি? এই বিষয়ে এখনো তেমন কোনো তথ্য না এলেও অনেকের মতে এটি অন্তত ১ হাজার বছরের প্রাচীন হবে। তবে এত প্রাচীন হলেও মূর্তিটি সুন্দরভাবে সজ্জিত। বিষ্ণুর দণ্ডায়মান মূর্তির চারটি হাত রয়েছে। দুটি উত্থিত হাত শঙ্খ ও চক্র দ্বারা সজ্জিত। তবে মূর্তিটির নাকের অংশ কিছুটা ভেঙে গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, একসময় মন্দিরের গর্ভগৃহে ছিল এই মূর্তি। তবে কোনো কারণে সেটিকে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।