বর্তমান সময়ে অগ্নিমূল্য হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব দ্রব্য। সবজি থেকে মাছ-মাংস, মশলাপাতি থেকে শুরু করে চাল ও ডাল- সবকিছুর দাম বাড়ছে দিনের পর দিন। আর এই বিষয়টি এখন শুধুমাত্র বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়ে হচ্ছে না, বছরের সব মাসেই এভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ছবিটা ধরা পড়ছে গোটা দেশে। পেট্রোপণ্যের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব যে বিভিন্ন সামগ্রীর পরিবহনে পড়ছে, তা মোটামুটি পরিষ্কার। একইসঙ্গে রয়েছে বাড়তে থাকে মুদ্রাস্ফীতি। আর এই সবকিছু মিলিয়ে যেন খেয়ে-পরে বেঁচে থাকাটাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে মধ্যবিত্তদের কাছে।
বর্তমানে চাল ও গমের দামেও উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি দেখা গেছে। একইসঙ্গে দেশজুড়ে বেড়েছে ডালের দাম। আর এই কারণে মধ্যবিত্তদের পক্ষে দিনযাপন কার্যত চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু এই অবস্থায় দেশবাসীকে স্বস্তি দিতে হয় ব্যবস্থা করছে মোদি সরকার। এমনিতেই সরকার রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে খাদ্যদ্রব্য বন্টনের ক্ষেত্রে অনেকটা টাকা ভর্তুকি হিসেবে খরচ করে থাকে। আর এবার দেশবাসীকে সস্তায় ভাতের জোগাড় করে দিতে দুর্দান্ত একটি পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্র। জানা গেছে, এবার কম দামে ‘ভারত চাল’ বিক্রি করবে সরকার।
দেশের গরিব মানুষদের অন্ন সংস্থানের জন্য একাধিক ব্যবস্থা চালায় সরকার। এর মধ্যে রেশন ব্যবস্থা হল অন্যতম। তবে এবার রেশন ব্যবস্থার পাশাপাশি দেশবাসীকে সস্তায় আটা ও ডাল দিতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ইতিমধ্যে, ভারতে চালু হয়েছে ‘ভারত আটা’ ও ‘ভারত ডাল’ বিক্রি শুরু করেছে মোদি সরকার। অত্যন্ত কম দামে এই খাদ্যদ্রব্য বন্টন করছে সরকার। জানা গেছে, বর্তমানে দেশে ‘ভারত আটা’ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ২৭.৫০ টাকা এবং ‘ভারত ডাল’ কেজিপ্রতি ৬০ টাকা দরে বিক্রি করছে সরকার।
আর এবার দেশে ‘ভারত চাল’ বিক্রি শুরু করতে চলেছে সরকার। সূত্রের খবর, ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল কো-অপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড বা NAFED এবং ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ কনজ্যুমারস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড বা NCCF এই চাল বন্টনের ব্যবস্থাকে চালনা করবে। জানা গেছে, ইতিমধ্যে, ৫ লক্ষ টন চাল সংগ্রহ করেছে সরকার। এই চাল মিলবে ২৯ টাকা কেজি দরে। তবে ৫ কেজি ও ১০ কেজির প্যাকেটে এই চাল মিলবে। এই চাল কিনতে পাওয়া যাবে সরকারের সমস্ত ভর্তুকিযুক্ত বন্টন কেন্দ্রে ও ই-কমার্স সাইটে।