প্রতি সপ্তাহের ছয়দিন কর্মদিবস হিসেবে গণ্য হয়। সপ্তাহে একদিন সাপ্তাহিক ছুটি পেয়ে থাকেন সরকারি থেকে বেসরকারি সকল ধরণের কর্মীরা। কোথাও কোথাও আবার এই সাপ্তাহিক ছুটি দুদিন থাকে। এছাড়াও সরকারি কর্মচারীরা সরকারের ছুটির ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আরো বেশ কিছু অতিরিক্ত ছুটি পেয়ে থাকেন। তার মধ্যে বেশ কিছু থাকে কেন্দ্রীয় সরকারি ছুটি, আবার রাজ্যের বেশ কিছু বিশেষ দিনে ছুটি পেয়ে থাকেন সরকারি কর্মচারীরা। অর্থাৎ, সর্বসাকুল্যে সপ্তাহে একদিন করেই ছুটির ব্যবস্থা রয়েছে।
তবে ব্যাঙ্কের ছুটির তালিকা একটু অন্যরকম হয়। সব কর্মীরা যেমন সপ্তাহের প্রতি রবিবার ছুটি পান, সেভাবেই ব্যাঙ্ক কর্মীরাও ছুটি পেয়ে থাকেন রবিবারে। এছাড়াও সপ্তাহের দ্বিতীয় ও চতুর্থ শনিবার ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকে। তাই মাসের ছুটির তালিকায় আরো দুটি দিন অতিরিক্ত যুক্ত হয় ব্যাঙ্ক কর্মীদের জন্য। তবে এখন অনেক সংস্থায় প্রতি সোনি ও রবিবার ছুটি থাকে। সেই বিষয়ের জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন ব্যাঙ্ক কর্মীরা। অর্থাৎ, আরো দুদিন অতিরিক্ত ছুটির জন্য দাবি জানাচ্ছেন তারা।
আর এই দাবি নিয়ে এবার অবস্থান স্পষ্ট করল কেন্দ্র সরকার। সম্প্রতি, আইআইটি গুয়াহাটিতে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেখানেই তিনি বিষয়টি নিয়ে জবাব দেন। ব্যাঙ্ক কর্মীদের সাপ্তাহিক ছুটি বৃদ্ধির দাবি প্রসঙ্গে নির্মলা বলেন, “গুজনে কান দেওয়া ঠিক হবে না।” অর্থাৎ, এই মুহূর্তে বিষয়টি নিয়ে ভাবতেই রাজি নয় কেন্দ্র। সাম্প্রতিক কিছু রিপোর্টেও বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, যেহেতু সামনেই লোকসভা ভোট, তাই এই পরিস্থিতিতে ব্যাঙ্ক কর্মীদের ছুটি নিয়ে কোনো আপডেট দেওয়া যাবেনা। অর্থাৎ, আপাতত তাদের মাসের দুটি শনিবার ছুটি বহাল থাকবে। অতিরিক্ত ছুটি মিলবে না।
যদিও ব্যাঙ্ক কর্মীদের এই দাবি মানা না হলেও তাদের খুশি করতে একটি বড়সড় পদক্ষেপ নিয়েছে। সম্প্রতি, বেতন বৃদ্ধি ঘটেছে ব্যাঙ্ক কর্মীদের। যদিও এই বেতন বৃদ্ধি সংক্রান্ত মউ স্বাক্ষর করতে চায়নি আইবিএ। ছুটির দাবিতে এমনটা হয়েছিল। তবে শেষমেষ বেতন বেড়েছে ব্যাঙ্ক কর্মীদের। কারণ মার্চের প্রথম দিকেই ব্যাঙ্কের কর্মীদের বেতন ১৭ শতাংশ করে বাড়ানোর প্রস্তাবে সই করে ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কস অ্যাসোসিয়েশন এবং ব্যাঙ্ক কর্মীদের ইউনিয়নগুলি। ২০২২ সালের ১ নভেম্বর থেকে এই নয়া বেতন কার্যকরী হয়েছে। তাই অনেকটা বকেয়া বেতন তারা একসাথে পাবেন। জানা গেছে, এই বেতন বৃদ্ধি ঘটেছে দেশের ১২টি সরকারি, ১০টি বেসরকারি এবং ৩টি বিদেশি ব্যাঙ্কের কর্মচারীদের জন্যই।