রামের নামে আজও দিন শুরু হয় কোটি কোটি মানুষের। আজও দেখা হলে ‘রাম-রাম’ বলার রীতি রয়েছে গোটা উত্তরভারত জুড়ে। দক্ষিণ ভারতেও রামের নামে দিন কাটে অনেকের। ঠিক যেন একটা দেশ, প্রভু রামকে স্মরণ করেই শান্তি পায়। যেন দেশের প্রতিটি মানুষের হৃদস্পন্দনের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে ভগবান শ্রী রামের নাম। সেই কারণেই রাম জন্মভূমি অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানকে ঘিরে গোটা দেশে একটা অনন্য উন্মাদনা চোখে পড়ছে। ঠিক যেন একসাথে এই বিশেষ অনুষ্ঠানের জন্য কাউন্টডাউন করছে দেড়শো কোটির ভারতবর্ষ।
আগামী ২২ শে জানুয়ারি রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা ও রাম মন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠান রয়েছে। আর এই অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, হিন্দু ধর্ম সংগঠনের প্রধান মোহন ভগবৎ সহ অনেক বিশিষ্ঠ মানুষজন। একইসঙ্গে এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ১১ হাজার মানুষকে। তবে কেবলমাত্র আমন্ত্রিতরা ছাড়া এই অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষ কেউই যোগদান করতে পারবেন না। এই ঘোষণা আগেই করে দিয়েছে রাম মন্দির ট্রাস্ট। সেই কারণেই শনিবার থেকে সাধারণ মানুষের জন্য বন্ধ হয়েছে রাম মন্দিরের দরজা। তবে ইতিমধ্যে ভিড় জমতে শুরু করেছে অযোধ্যায়। তাই এই ভিড় সামাল দিতে এখন যে কার্যত কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে প্রশাসনকে, তা স্পষ্ট।
আর এবার ভক্তদের ভিড় সামাল দিতে বন্ধ করে দেওয়া হল অযোধ্যা স্টেশন। জানা গেছে, শুক্রবার রাত থেকেই অযোধ্যা ধাম স্টেশনে থামছে না কোনো ট্রেন। একইসঙ্গে ফৈজাবাদ স্টেশনেও কোনো ট্রেন দাঁড়াচ্ছে না। একইসঙ্গে এই রুটের সমস্ত ট্রেনকে ঘুরপথে চালনা করা হচ্ছে বলেই খবর। এক রেল আধিকারিক জানিয়েছেন যে কবে থেকে অযোধ্যা ধাম স্টেশনে ট্রেন থামা ফের শুরু হবে তা স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। তবে রাম মন্দির উদ্বোধনের দিনে বাড়তে থাকে ভিড় সামাল দিতে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে রেলের পক্ষ থেকে।
আর এই অবস্থায় কার্যত গভীর সমস্যায় পড়েছেন আমন্ত্রিতরা। কারণ, আমন্ত্রিতদের অনেকেই ট্রেন মাধ্যমে অযোধ্যা পৌঁছানোর জন্য বেরিয়ে পড়েছেন। কিন্তু এখন গন্তব্যে পৌঁছানো নিয়ে টেডেট মধ্যে বাড়ছে টেনশন। তবে তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করতে উদ্যোগী হয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। শনিবার করসেবকপূরমে বিশেষ অতিথিদের আনার জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই প্রসঙ্গে, পরিষদের কর্তা গিরিধারী পাণ্ডে বললেন, “আমরা অতিথিদের যে কোনও ট্রেন ধরে সুলতানপুর চলে আসতে বলছি। সেখান থেকে গাড়ি করে অযোধ্যায় নিয়ে আসা হবে।”