ভারতের প্রাচীন একটি শাস্ত্র হল বাস্তুশাস্ত্র। বহু শতাব্দী ধরে এই শাস্ত্র আমাদের বসতবাড়ি সাজানো গোছানোর বিষয়ে নানা তথ্য দিয়ে আসছে। বাড়ির কোথায় কোন জিনিস রাখলে, বাড়িতে লক্ষ্মীর বসবাস হয়, সেই বিষয়েও নানা মত দিয়ে থাকেন বাস্তুবিদরা। তেমনই বাড়িতে কোন গাছ লাগলে, সেই বাড়িতে সমৃদ্ধির দেবীর কৃপা বর্ষণ হয়, সেই বিষয়েও উল্লেখ রয়েছে বাস্তুশাস্ত্রে। এছাড়াও আরো ভিবিন্ন জিনিসের প্রভাব নিয়ে আলোচনা হয়ে থাকে বাস্তুশাস্ত্রে।
গৃহসজ্জায় আমরা নানা জিনিস ব্যাবহার করে থাকি। কেউ যেমন দেওয়ালে ছবি দিয়ে ঘর সাজিয়ে তোলেন, কেউ আবার ঘর সাজাতে ভালোবাসেন নানা শো-পিস দিয়ে। এসবের পাশাপাশি আসবাবপত্র তো হল কোনো বাড়ির প্রধান বস্তু। তবে বাস্তুশাস্ত্র মতে ঘর সাজালে ঘরের মধ্যে সদা বিরাজ করে সুখ ও শান্তি, এমনটাই মনে করেন অনেকেই। একইসঙ্গে এইসব নিয়ম মেনে বাড়ি সাজালে দেবী লক্ষ্মী সহ নানা দেবতার কৃপালাভ হয়ে থাকে। তাই এভাবেই বাড়ি সাজানোর পরামর্শ দেন অনেকে।
তবে শুধুমাত্র বাড়িঘর সাজানো নয়, ভাগ্যেত বদলে আরো বেশ কিছু প্রতিকার ও সমাধান দেওয়া হয় বাস্তুশাস্ত্রে। আর আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এসব প্রতিকার ভীষণভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়। আর তেমনই এক ভাগ্য বদলের প্রতিকার দেওয়া হয়েছে গোলমরিচকে নিয়ে। এটি আমাদের রান্নাঘরের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। যেকোনো খাবার বা পানীয় বস ফলের স্বাদ কিয়েকগুণ বাড়িয়ে তোলে এই গোলমরিচ। তবে এই গোলমরিচ দিয়ে ভাগ্য বদলের একটি কাজও করা যায়। এটা হয়তো অনেকেই জানেন না।
গোলমরিচ দিয়ে ভাগ্য ফেরাতে প্রথমেই হাতে এক চামচ গোলমরিচ নিয়ে নিজের চারদিকে সাতপাক ঘুরতে হবে। এবার হাতে থাকা গোলমরিচগুলি নিজের চারপাশে ছড়িয়ে দিতে হবে। এবার হাতে যে একটি গোলমরিচ বেঁচে থাকবে সেই গোলমরিচটি বাড়ির দরজায় রেখে দিন। কোনো পরীক্ষা বা ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার সময় দরজায় ওই গোলমরিচ রেখে সেটি পায়ে করে মাড়িয়ে যান। এতে যে কাজে যাচ্ছেন সেই কাজে চূড়ান্ত সফলতা পাবেন। এছাড়াও সন্ধ্যা প্রদীপের সঙ্গে কয়েকটি গোলমরিচ দিয়ে দিলে অর্থভাগ্য খুলে যায়। লাভ হয় দেবীর কৃপা।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্যের ভিত্তিতে লিখিত। কুসংস্কারকে প্রশ্রয় দেওয়া আমাদের উদ্দেশ্য নয়।