শীতকাল মানে যেমন হুহু করে ঠান্ডায় কাঁপা, তেমনই এই শীতে খাবার পাতে কোনো আপোষ করতে চায়না বাঙালি। আর তেমনটা করতেও হয়না। কারণ শীতকালে যেমন বাজারে আসে বাহারি ফল, তেমনই বাজারে অনেকরকম সবজির আমদানি ঘটে এই শীতকলেই। বাঁধাকপি, ফুলকপি, পালং শাক ও গাজর এখন সারাবছর পাওয়া গেলেও এগুলি মূলত শীতের সবজি। এছাড়াও এই সময় মুলো, শিম ও মটরশুঁটি পাওয়া যায় ব্যাপকভাবে। তাই সবজি খেতে যারা ভালোবাসেন, তাদের কাছে শীতকাল যেন স্বর্গসুখ বয়ে আনে।
তবে শুধু শীতকাল নয়, যারা সবজি খেতে ভালোবাসেন, তাদের ক্ষেত্রে বাজার থেকে ফেরা মানেই ব্যাগ ভর্তি করে ফেরা। আর সেই ব্যাগে যেমন থাকে বাহারি শাক, তেমনই থাকে আলুর মতো সাধারণ সবজি, আবার নানারকম সবজি থাকে। এছাড়াও, পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও কাঁচালঙ্কার মতো আনুষঙ্গিক সবজিও থাকে বাজারের থলের ভেতর। আর সকাল থেকে এই বাজার করতে বেরোনো অনেকেরই অভ্যাস হয়ে দাঁড়ায়। সেই কারণে কেনাকাটার প্রয়োজন না থাকলেও থলি হাতে নিয়ে বাজারের উদ্দেশ্যে যাওয়ার মানুষ আমরা প্রায় সব জায়গাতেই দেখতে পাই।
কিন্তু যারা বাজার করতে এক্সপার্ট কিংবা বহুকাল ধরে সবজির বাজার করে আসছেন, তারাও একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন না। আর সেই প্রশ্নটি হল, ভারতের জাতীয় সবজি কি? আমরা এতদিন শুনে আসছি যে ভারতের জাতীয় পশু হল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। একইভাবে দেশের জাতীয় পাখি হল ময়ূর। সেভাবেই ভারতের জাতীয় পতাকার থাকে তিনটি রং। এছাড়াও ভারতের জাতীয় সংগীত হল ‘জন-গণ-মন’। এই সকল জাতীয় বিষয়কে আমাদের স্কুলেই পড়ানো হয়। কারণ এইসব জানতে হয় নানা কারণে। বিশেষ করে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসতে হলে এইসব প্রশ্নের উত্তর জানা অত্যন্ত জরুরি।
কিন্তু এবার শুনলে অবাক হবেন যা ভারতের জাতীয় সবজি আদতে কি। অনেকেই এই সবজি খেতে ভালোবাসেন, আবার অনেকেই তেমন পছন্দ করেন না। তবুও এই সব্জিকে ভারতের জাতীয় সবজির তকমা দেওয়া হয়। আর সেটি হল কুমড়ো। শুনে অবাক হওয়ার কিছুই নেই। ভারত হল এমন একটি দেশ, যেখানে উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম- সব প্রান্তেই কুমড়োর চাষ হয়। এমনকি দেশের নানা প্রান্তে কুমড়োর নানা রেসিপি খুবই বিখ্যাত। অর্থাৎ, ভারতের বুকে সবথেকে বেশি চাষ হয়ে থাকে এই সবজি। সেই কারণেই কুমড়োকে জাতীয় সবজির তকমা দেওয়া হয়।