আমাদের দেশে স্বচ্ছ ভারত মিশন চালু হয়েছে বছর কয়েক আগেই। আর এই মিশনের জেরে ইতিমধ্যে সারাদেশের বেশিরভাগ মানুষ টয়লেট ব্যবহারের অভ্যেস রপ্ত করেছেন। সেই কারণে দেশে টয়লেটের পরিমানও বেড়েছে। এর সুফল বেশি করে পড়েছে গ্রামীন এলাকায়। গ্রামীন এলাকায় এখন শৌচাগার ব্যবহার করে থাকে অনেকেই। সেই কারণে রোগ ছড়িয়ে উড়ার সম্ভাবনা এখন অনেকটাই কমেছে। এখন বর্ষাকালে ডায়রিয়া, আন্ত্রিক ও জন্ডিসের মতো জলবাহিত রোগের প্রকোপ কমেছে অনেকটাই। এটাকে অনেকেই শৌচাগার ব্যবহারের সুফল বলে মনে করেন।
তবে টয়লেট থেকে এক্কেবারে রোগ ছড়ায় না তা কিন্তু নয়। টয়লেট প্যান বা কমোড প্যান থেকেও ছড়াতে পারে অনেক রোগ। এই কারণে টয়লেটের প্যানকে নিয়মিত পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখা আবশ্যক। কারণ প্যানের সঙ্গেই সরাসরি সংস্পর্শে এসে আমাদের শরীরের বেশ কিছু সংবেদনশীল অঙ্গ। তাই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটতে পারে সহজেই। তবে নিয়মিত প্যান পরিষ্কার রাখলে সেই সম্ভাবনা কিন্তু অনেকটাই দূর হয়ে যায়। তাই চিকিৎসকরা টয়লেট ব্যবহারের পাশাপাশি টয়লেট প্যান পরিষ্কার রাখার পরামর্শও দিয়ে থাকেন।
এবার টয়লেট প্যান পরিষ্কার করার জন্য অনেকেই অনেক উপায় ব্যবহার করে থাকেন। আগেকার দিনে টয়লেট পরিষ্কার করতে এসিড ব্যবহার করতেন আমাদের দেশের মানুষজন। তবে সেই এসিড থেকেও ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তাই এখন এসিডের ব্যবহার নেই বললেই চলে। এখন অনেকেই হারপিক বা এই ধরণের ক্লিনিং লিকুইড ব্যবহার করে থাকেন এই কাজে। তবে তাতেও শরীরের উপর রাসায়নিক ক্ষতির প্রভাব পড়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
কিন্তু শুনলে অবাক হবেন যে ঘরোয়া উপায়ে টয়লেট প্যানকে পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখা যায়। আর এই উপায়টি হল ইনো। এই জিনিসটি প্রায় সব বাড়িতেই উপলব্ধ। টয়লেট পরিষ্কার করার জন্য ইনোর প্যাকেট ছিঁড়ে ফেলে দিন পায়খানার প্যানে। কিছুক্ষন রেখে ব্রাশ দিয়ে ঘষে ফেলুন। বাজারে উপলব্ধ যেকোনো ক্লিনিং লিকুইডের মতোই পরিষ্কার হবে এই উপায়ে। শুধুমাত্র কমোড বা ইন্ডিয়ান প্যান নয়, ইনো পাউডার দিয়ে টয়লেটের মেঝেও পরিষ্কার করা যায়।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্যের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। উপরোক্ত উপায়ে শতভাগ সফলতার দাবি করেনা Hoophaap।