বর্তমান সময়ে ইলেকট্রিক হল একটি অপরিহার্য জিনিস। ইলেকট্রিক ছাড়া আজকের মানবজীবন জরন এক্কেবারে অন্ধকার। ইলেকট্রিক ছাড়া যেমন লাইট জ্বলে না, তেমনই চলে না পাখা কিংবা এসি, বন্ধ থাকে জলের পাম্প, ফ্রিজ, চার্জ দেওয়া যাবে না মোবাইল থেকে ল্যাপটপ। এককথায় বিদ্যুৎ সংযোগ ছাড়া এক্কেবারে অচল হয়ে যায় আমাদের নিত্যদিনের জীবন। আর দিন দিন বিদ্যুৎ মানুষের অবিচ্ছেদ্য এক সঙ্গী হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
কিন্তু ইলেকট্রিক থাকলেও ইলেকট্রিকের বিল নিয়ে অনেকেই সমস্যায় পড়েন মাঝেমধ্যে। কারণে দেশে দিন দিন বিদ্যুতের দাম বাড়ছে একটু একটু করে। এদিকে চাহিদার সঙ্গে বাড়িতে ইলেকট্রিক গ্যাজেটের সংখ্যাও বাড়াতে হচ্ছে, আর সেগুলিকে চালু করেও রাখতে হচ্ছে। এই অবস্থায় আকাশছোঁয়া বিদ্যুৎ বিলের সমস্যায় ভুগছেন কমবেশি সকলেই। আর গ্রীষ্মে বেশি বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যায়। তাই গ্রীষ্মে ইলেকট্রিক বিল অনেক বেশি আসে। তবে নিম্নলিখিত দুটি উপায় মেনে চললে গ্রীষ্মেও ইলেকট্রিক বিল কম আসবে। কিভাবে? তো এবার জেনে নিন।
● এয়ার কন্ডিশনারের সঠিক তাপমাত্রা নির্বাচন: এই গরিয়ামে এসি চলে বেশি। অফিস থেকে শপিং মল, সিনেমা হল, ব্যাঙ্ক এমনকি আজকাল সিংহভাগ বাড়িতেও এসি চালানো হয় গরমে। তবে বাড়ির ক্ষেত্রে দেখা যায় যে সারারাত এসি চলে যায়। এক্ষেত্রে এসির তাপমাত্রা খুব কমিয়ে রাখলে বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়। কারণ এতে কম্প্রেসারে বেশি চাপ পড়ে। তাই এসিতে তাপমাত্রা খুব কম রাখা উচিত নয়। বিশেষজ্ঞরা বলেন যে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সবথেকে কম বিদ্যুৎ খরচ হয় এসিতে।
● রেফ্রিজারেটর চালানোর সঠিক উপায়: শীতকালে অনেকের বাড়িতে ফ্রিজ বন্ধ থাকলেও গ্রীষ্মকালে চব্বিশ ঘন্টা ফ্রিজ চলে বাড়িতে। আর এমনটা হলেই বিদ্যুতের বিল বেশি আসবে। ফ্রিজের কম্প্রেসার বেশিক্ষন চললে অতিরিক্ত বিল আসবে। তাই এই গ্রীষ্মেও ফ্রিজ মাঝেমধ্যে বন্ধ রাখা উচিত। যখন দেখবেন সব জিনিস অনেক ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে, তখন ঘন্টাখানেক ফ্রিজ বন্ধ রাখুন। এতে ইলেকট্রিক বিল অনেকটা কম আসবে।