শীতকাল প্রায় শেষের মুখে। তবে শীতের প্রভাব এখনো রয়েছে রাজ্যের বুকে। আর এই শীতের অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল শীতের বৈচিত্র। কারণ এই শীতকালে যেমন বাজারে আসে বাহারি ফল, তেমনই বাজারে অনেকরকম সবজির আমদানি ঘটে এই শীতকলেই। এদিকে শীতকালে নানা ফুল ফোটে বাগানে। অনেকের ক্ষেত্রে বাগান করার জায়গা না থাকলেও বাড়ির ব্যালকনি বা ছাদে বাহারি ফুলের গাছ লাগিয়ে থাকেন।
শীতে যেমন ফোটে গাঁদা, তেমনই ক্যালেন্ডুলা, চন্দ্রমল্লিকা ডালিয়া ফুলও ফোটে ব্যাপকভাবে। একইসঙ্গে এই শীতে ফোটে বাহারি দোপাটি ফুলও। কমবেশি সকলের বাড়িতেই এই দোপাটি ফুলের গাছ থাকে। তবে দোপাটি গাছ লাগালেও দোপাটি ফুল ফোটেনা সব গাছে। এই সমস্যায় কমবেশি সকলেই ভুগে থাকেন। বিশেষ করে যারা গাছপ্রেমী ও ফুলপ্রেমী মানুষ হন, তাদের বাড়িতে গেছে ফুল না ফুটলে মন খারাপ হয়। তবে এবার তাদের মন খারাপের দিন শেষ হতে চলেছে। এই নিবন্ধে রইল একটি ঘরোয়া টোটকা।
দোপাটি ফুলের গাছে ফুল ফোটার অন্যতম টোটকা হল এই গাছের গোড়ায় থাকা মাটি। কারণ গাছের মাটি ঠিকঠাক না থাকলে গাছে ফুল ফোটা সমস্যার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। সেই কারণেই এই ফুলের গাছ লাগানোর আগে তার মাটি তৈরি করে নেওয়া ভীষণভাবে জরুরি। এই গাছ যেখানে লাগাবেন সেখানে লক্ষ্য রাখবেন যাতে মাটিতে জল না জমে। তাই ঢালু জায়গায় এই গাছে সবথেকে ভালো ফুল ফোটে। এছাড়াও গাছটি লাগানোর আগে তার গোড়ায় থাকা মাটি পরিচর্যা করতে হবে। এর জন্য ৫০ শতাংশ মাটির সঙ্গে ২৫ শতাংশ লালবালি এবং ২৫ শতাংশ গোবরসার মিশিয়ে নিতে হবে। এতে সবথেকে ভালো ফুল ফুটবে।
এছাড়াও এই গাছের শিকড়ে খুব বেশি পরিমাণে ছত্রাকের সংক্রমণ ঘটে থাকে। তাই গাছের গোড়ায় নিয়মিত ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করতে হবে। তবে খুবই কম মাত্রায় সেটি দিতে হবে। বেশি দিলে গাছের ক্ষতি হবে। এছাড়াও সপ্তাহে একদিন দোপাটি গাছের গোড়ায় দিতে হবে ভিজিয়ে রাখে খোলের জল। এতে গাছের বৃদ্ধি ভালো ঘটবে। এছাড়াও গাছটিকে রোদে রাখার চেষ্টা করবেন। গাছের উপর ছায়া পড়লে সেটি গাছের ক্ষতি করবে।