শীতকাল শেষ হতে চলল। বসন্তের আগমন ঘটে গেছে বাংলার জেলায় জেলায়। ইতিমধ্যে দিনের বেলায় তাপমাত্রা বাড়ছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। তবে সূর্যাস্তের পর থেকে কিছুটা শীত অনুভূত হচ্ছে। এই শীতের প্রভাব থাকছে রাতভর। সেই কারণেই এটিকে ঋতুর সন্ধিক্ষন বলা হয়। আর এই সময় আসা মানেই নানা শারীরিক সমস্যার বাহার। অনেকেই এই সময় যেমন ঠান্ডা লাগার সমস্যায় ভোগেন, তেমনই জ্বর, সর্দি, কাশি এই সময় ব্যাপকভাবে হয়ে থাকে। এছাড়াও এই সময়ে হজমের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই।
বসন্তের শুরুতে অনেকের পেটখারাপের সমস্যা দেখা দেয়। প্রায়ই গ্যাস, অম্বলের সমস্যা হয়। খাবার হজম হয়না ঠিকমতো। আর পেটের এমন সমস্যা হলে যেমন কোনো কাজ করতে ভালো লাগেনা, তেমনই কোনো আনন্দের অনুষ্ঠান বা উৎসবে যেতেও ইচ্ছে করেন। তবে এই সমস্যা থেকে সমাধানের পথ খুঁজে দিতে পারে এই ৫ টি ফল। এগুলি খেলে শুধুমাত্র এই সময় নয়, সারা বছর হবে না পেটের সমস্যা। একনজরে দেখে নিন সেই ফল সম্পর্কে।
● পেঁপে: পেটের যেকোনো সমস্যায় পেঁপে একটি দারুন উপকারী ফল। কাঁচা পেঁপে রান্না করেও খাওয়া যায়, আবার পাকা পেঁপে খেলেও উপকার মেলে। কারণ পেঁপের মধ্যে থাকে প্যাপাইন নামক একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসেচক আমাদের হজম ক্রিয়াকে গতি প্রদান করে। সেই সঙ্গে পেটের নানা সমস্যা কমিয়ে দেয় মিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস।
● কমলালেবু: কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা থাকলে রোজ একটি করে কমলালেবু খাওয়ার পরামর্শ দেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। কারণ লেবুতে থাকা পর্যাপ্ত ফাইবার হজমে সহায়তা করে। এছাড়াও কমলালেবুর অন্যতম উপাদান নারিনজেনিন ও ফ্ল্যাভোনয়েড হজম ক্রিয়াকে গতিশীল করে। তাই পেটের সমস্যায় এটি একটি অব্যর্থ টোটকা হতে পারে।
● নাশপাতি: পেটের সময় থেকে মুক্তি পেতে নাশপাতি ফলকে রাখতে পারেন আপনার ডায়েট লিস্টে। এই ফল রোজ খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা দূর হয়। একইসঙ্গে বাড়ে হজম ক্ষমতা। কারণ এই ফলে রয়েছে ফাইবার, ফ্রুক্টোজ এবং সরবিটলের মতো উপকারী উপাদান।
● কিউয়ি: পেটের সমস্যা কমিয়ে দিতে সক্ষম কিউয়ি ফল। প্রতিদিন এই ফল খেতে পারলে হজমের সমস্যাও দূর হবে। কারণ কিউয়ি ফলে রয়েছে অ্যাক্টিনিডিন নামক একটি এনজাইম, যা হজমে সাহায্য করে।
● আপেল: হজমের সমস্যা কমাতে রোজ একটি করে আপেল খেতে পারেন। আপেলে যেহেতু প্রচুর পরিমানে ফাইবার রয়েছে, তাই আপেল খেলে মলত্যাগ পরিষ্কারভাবে হয়। একইসঙ্গে আপেলে থাকা পেকটিন নামক উপাদান হজমের শক্তি বৃদ্ধি করে। তবে আপেল খোসা সহ খাওয়া উচিত।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্যের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। বাস্তব জীবনে যেকোনো শারীরিক সমস্যায় আগে বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিন।