রান্নাঘরের প্রতিদিনের রেসিপির মধ্যে ভাত হল অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ভাত ছাড়া বাঙালির দুপুর জমেনা। অনেকে আবার রাতেও ভাত খেতেই পছন্দ করেন। ভাত শুনতে সহজ লাগলেও ভাত রান্না করা মোটেই সহজ নয়। কারণ ভাত বেশি সেদ্ধ হয়ে গেলে তা খাওয়া যায়না। সাথে মাংস থাকলেও গলে যাওয়া ভাত অনেকেরই মুখে ওঠেনা। এই নিয়ে আবার অশান্তি, চেঁচামেচি, মেজাজ খারাপের মতো ঘটনাও ঘটে অনেক সংসারে।
আসলে ভাত রান্না করার পদ্ধতি খুবই সহজ এবং সরল। হাঁড়ি বা যেকোনো পাত্রে জল নিয়ে ওভেনে বসিয়ে দিয়ে জল ফোটা অবধি অপেক্ষা করতে হয়। এদিকে জল ফুটে এলেই ফুটন্ত জলে ধুয়ে রাখা চাল ফেলে দিতে হয়। এবার চালের প্রকার অনুযায়ী সেদ্ধ হতে সময় নেয় ভাত। তবে এই ভাত নামানোর সময় বা কৌশল কিন্তু ভাত রান্নার গুরুত্বপূর্ণ দিক। তবে এখানেই অনেকে গোলমাল করে ফেলেন। তাই ভাত বেশি সেদ্ধ হয়ে যায়। তবে এক্ষেত্রে কয়েকটি ঘরোয়া টোটকা মনে রাখলেই ভাত হবে একদম ঝুরঝুরে। বেশি সেদ্ধ হয়ে গেলেও সেই ভাতকে ঝুরঝরে করে তোলা সম্ভব হবে। একনজরে দেখে নিন সেইসব উপায়।
● নুন: ভাত অতিরিক্ত সেদ্ধ হয়ে গেলে সেটিকে ঝুরঝুরে করে তুলতে নুন দারুন একটি টোটকা হতে পারে। এর জন্য প্রথমে ভাতের ফ্যান ঝরিয়ে নিয়ে হাঁড়ির ভেতর একটি বাড়িতে কিছুটা নুন রেখে দিন।এই নুন ভাতের বাড়তি জল শুষে নেবে। তবে খেয়াল রাখবেন যে নুন যেন না ভাতে মিশে যায়।
● পাউরুটি: ভাত বেশি সেদ্ধ হয়ে গেলে পাউরুটি দিয়েও তার সমাধান করা যায়। এর জন্য ভাতের ফ্যান ঝড়িয়ে ভাতের উপর কয়েকটুকরো পাউরুটি দিয়ে ঢেকে রেলে দিন কিছুক্ষণ। এতে ভাতের বাড়তি জল শুষে নেবে পাউরুটি এবিং ভাত ঝবর ঝরঝরে।
● ঠান্ডা জল: ভাত যদি এক্কেবারে গলে যায় সেক্ষেত্রে ভাতকে ঝুরঝুরে বানানোর জন্য সেটিকে কয়েকবার বরফ জলে ভিজিয়ে জল ঝরিয়ে নিন। এতে ভাত আগের অবস্থা ফিরে পাবে।
● মাইক্রোওয়েভ: ভাত বেশি সেদ্ধ হয়ে গেলে একটি পাত্রে ভাত রেখে সেই পাত্রটি মাইক্রোওয়েভে দিয়ে মাইক্রোওয়েভ চালু করে দিন পনেরো মিনিটের জন্য। এতে ভাতের বাড়তি জল উবে গিয়ে ভাত ঝরঝরে হয়ে যাবে।