শেষ হয়েছে পৌষ মাস। এক সপ্তাহ আগেই শুরু হয়েছে মাঘ মাস। পৌষ মাসকে ‘মল মাস’ হিসেবে গণ্য করা হয় হিন্দুধর্মে। তাই পৌষ মাসে যেকোনো ধরণের শুভ কাজ নিষিদ্ধ। তাই পৌষ শেষ হতে না হতেই শীতের বিয়ের মরশুমের সূত্রপাত ঘটে গিয়েছে। মাঘ ও ফাল্গুন মাসে অনেক বিয়েবাড়ির লগ্ন রয়েছে। এই দুমাসে অনেকেই বাঁধা পড়বেন সাতপাকে। ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে বিয়ের মরশুম। আবার বিয়ের প্রস্তুতি এখন চলছে অনেকসব পরিবারে।
আর একজন পুরুষ বা মহিলার কাছে বিয়ে হল জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই একটি ঘটনার পর দুটি জীবন বদলে যায় অনেকটাই। বদলে যায় চারপাশ, বদলে যায় জীবনধারা, বদলে যায় সবকিছু। তাই এই পদক্ষেপ নেওয়ার আগে অনেক বিষয় মাথায় রাখতে হয়। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল দাম্পত্য জীবনের চাবিকাঠি। যারা এরেঞ্জ ম্যারেজ করেন, তাদের ক্ষেত্রে এটি একটি বড় চিন্তার বিষয়। তাই এই বিষয়গুলি জেনে নিয়ে তবেই বিয়ের পথে পা বাড়ানো উচিত বলে মনে করে অনেকেই। একনজরে দেখে নিন সেই সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
●সময় দেওয়া: যেকোনো সম্পর্ককে লালন পালন করতে হলে একে অপরকে যথেষ্ট সময় দিতে হয়। দাম্পত্য জীবনের ক্ষেত্রে এটি বিশেষভাবে প্রযোজ্য। তাই দাম্পত্য জীবনে পা বাড়ানোর আগে নিজেকে সময় দেওয়ার জন্য উপযুক্ত করে তোলা উচিত।
●মিলেমিশে থাকা: দাম্পত্য জীবনকে সুখকর করে তুলতে হলে সবার আগে মিলেমিশে থাকার অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি। যেকোনো কাজে একে অপরকে যতটা সম্ভব সাহায্য করা উচিত। সেটা অফিসের কাজ হোক বা রান্নার কাজ।
●রোমান্স বজায় রাখা: দাম্পত্য জীবনকে সুখকর করে তুলতে হলে রোমান্স বজায় রাখা জরুরি। কারণ রোমান্স বজায় রাখলে তবেই দাম্পত্য সুখকর হয়। এক্ষেত্রে একে অপরের সঙ্গে ব্যক্তিগত মুহূর্ত নিয়মিত কাটানোর অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি।
●কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা: পুরুষ ও মহিলা উভয়েই তার সঙ্গী বা সঙ্গিনীর থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে দেখতে চায়। তাই একটি সম্পর্ককে সুখকর বানাতে হলে সবার আগে এই অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত।
●পুরানো বিবাদ ভুলে যাওয়া: প্রেম করে বিয়ে করলে বিয়ের আগে সম্পর্কে অনেক পুরনো বিবাদ থেকে যায়। তবে বিয়ের আগে এসব ভুলে যাওয়াটাই শ্রেয়। এতে সম্পর্ক থাকে মধুর।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্যভিত্তিক। বাস্তব জীবনে সবার ক্ষেত্রে উপরোক্ত বিষয়গুলি নাও মিলতে পারে।