গ্রীষ্মের শুরুতে মশার সাথে পরিচয় ঘটেনি এমন মানুষ নেই বললেই চলে। কারণ মশার কামড় কমবেশি সকলেই খেয়ে থাকেন দিন প্রতিদিন। শীতের পর একটু গরম পড়লেই বাড়িতে মশার উপদ্রব তীব্র হয়। আর মশার কামড় যেমন বিরক্তিকর, তেমনই আবার বেদনাদায়ক। একইসঙ্গে মশার কামড় থেকেই বিভিন্ন রোগের প্রকোপ বাড়ে। তাই সুষ্ঠ থাকতে হলে মশা থেকে দূরত্ব বজায় রাখা উচিত। নাহলেই বিপদ বাড়ে।
মশা তাড়ানোর জন্যবাজারে উপলব্ধ রয়েছে মশা তাড়ানোর নানা কয়েল, ধুপ ও লিকুইড। এগুলি জ্বালালে তার থেকে উৎপন্ন ধোঁয়ার কারণে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় মশার দল। তবে জেনে রাখা উচিত যে একটি মশা তাড়ানোর কয়েল থেকে ৭০ টি সিগারেটের সমান ধোঁয়া উৎপন্ন হয় থাকে। এছাড়াও মশা তাড়ানোর লিকুইড তৈরি হয় নানা রাসায়নিক দিয়ে। তাই এগুলি শরীরের পক্ষে অনেকাংশে বেশি ক্ষতি করে মশার থেকেও। তাই এসব পন্থা অবলম্বন করে মানা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে চিন্তার কারণ নেই। কারণ তুলসী গাছ বাড়িতে থাকলেই দূর হবে মশা। কিভাবে? জেনে নিন।
ভেষজ গুনে সমৃদ্ধ আমাদের আশেপাশের গাছগুলির মধ্যে অন্যতম হল তুলসী গাছ। সর্দি, কাশি সহ একাধিক উপসর্গকে নিমেষে সরিয়ে তুলতে পারে তুলসী গাছের পাতার রস। তবে শুধু ভেষজ গুনই নয়, হিন্দু ধর্মে তুলসী গাছের গুরুত্ব অপরিসীম। হিন্দু শাস্ত্র মতে ভগবান নারায়ণের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এই তুলসী গাছ। মনে করা হয় ভগবান নারায়ণের সান্নিধ্য লাভ করার একমাত্র মাধ্যম হল তুলসী গাছ। তাই হিন্দু ধর্মাবলম্বী প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই রয়েছে তুলসী গাছ।
আর এই তুলসী গাছ বাড়িতেই থাকলেই বাড়ির ত্রিসীমানায় মশার উপদ্রব অনেক কম হবে বলে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। মশা সাধারণত ধোঁয়া দিয়ে সহজে দূর করা যায়। তবে যেহেতু মশা বিশেষ কিছু গন্ধ সহ্য করতে পারেনা, তাই তুলসী গাছ মশা তাড়ানোর বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। ইতিমধ্যে, অনেক বাড়িতে মশা তাড়ানোর জন্য তুলসী গাছ লাগানো হচ্ছে। বলে হচর যে প্রাকৃতিক উপায়ে মশা দূর করতে তুলসী গাছ একটি দারুন বিকল্প হতে পারে, যেটি কোনোরূপ ক্ষতি ছাড়াই মশাকে রাখবে যোজন দূরে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি পুরোপুরি তথ্য অনুযায়ী লেখা। উপরোক্ত উপায়ের শতভাগ সত্যতা দাবি করেনা Hoophaap।