মশার সাথে পরিচয় ঘটেনি এমন মানুষ নেই বললেই চলে। কারণ মশার কামড় কমবেশি সকলেই খেয়ে থাকেন দিন প্রতিদিন। শীতের পর একটু গরম পড়লেই বাড়িতে মশার উপদ্রব তীব্র হয়। আর মশার কামড় যেমন বিরক্তিকর, তেমনই আবার বেদনাদায়ক। একইসঙ্গে মশার কামড় থেকেই বিভিন্ন রোগের প্রকোপ বাড়ে। তাই সুষ্ঠ থাকতে হলে মশা থেকে দূরত্ব বজায় রোলহ উচিত। নাহলেই বিপদ বাড়ে।
তমশা তাড়ানোর জন্যবাজারে উপলব্ধ রয়েছে মশা তাড়ানোর নানা কয়েল, ধুপ ও লিকুইড। এগুলি জ্বালালে তার থেকে উৎপন্ন ধোঁয়ার কারণে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় মশার দল। তবে জেনে রাখা উচিত যে একটি মশা তাড়ানোর কয়েল থেকে ৭০ টি সিগারেটের সমান ধোঁয়া উৎপন্ন হয় থাকে। এছাড়াও মশা তাড়ানোর লিকুইড তৈরি হয় নানা রাসায়নিক দিয়ে। তাই এগুলি শরীরের পক্ষে অনেকাংশে বেশি ক্ষতি করে মশার থেকেও। তাই এসব পন্থা অবলম্বন করে মানা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে চিন্তার কারণ নেই। কয়েকটি ঘরোয়া টোটকার মাধ্যমেই দূর হবে মশা। সেগুলি জেনে নিন।
● মশা তাড়ানোর প্রদীপ: প্রথমে একটি প্রদীপ নিয়ে নিন। এবার কয়েকটি রসুনের কোয়া ছাল ছাড়িয়ে হালকা থেঁতো করে প্রদীপের মধ্যে দিয়ে দিন। তারপর তার সাথে কর্পূরের গুঁড়ো, তেজপাতার গুঁড়ো দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার সেই মিশ্রনে সরষের তেল দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে তাতে একটি সলতে ভিজিয়ে রাখুন। কিছুক্ষন পর এই প্রদীপ জ্বালিয়ে দিন। প্রতিদিন এটি করতে পারলেই বাড়িতে আর থাকবে না মশার বংশ।
● লেবু ও লবঙ্গ: বাড়িতে লেবু থাকলে সেটিকে মাঝে মাঝে কেটে নিন। এবার কয়েকটা লবঙ্গ হাতে নিন। এবার লেবুর কাটা অংশে বেশ কয়েকটি লবঙ্গকে ঢুকিয়ে দিন। এবার লবঙ্গ ও লেবুর ওই দুটো টুকরো জানালায় বেঁধে দিন। এর গন্ধে মশা আসবে না।
● পুদিনা ও নিমপাতা: বিকেলবেলায় গ্যাসের ওভেনে চাপিয়ে দিন একপাত্র জল। এবার সেই জল ফুটতে থাকলে তাতে কয়েকটি পুদিনা পাতা থেঁতো করে ফেলে দিন। এবার জলকে ফুটিয়ে তার ভাপ গোটা ঘরে ছড়িয়ে দিন। এছাড়াও নিমপাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে ধুনোর সঙ্গে দিন। এই দুই উপায়ে মশা থাকবেনা বাড়িতে।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্যভিত্তিক। বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিয়ে তবেই উপরোক্ত পদ্ধতি প্রয়োগ করুন।