একটি সংসারের মধ্যে রান্নাঘর হল একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থান। তার কারণ হল এই রান্নাঘর থেকেই সমস্ত রকমের খাবার এসে সজ্জিত হয় খাবার টেবিলে। যেহেতু বাঙালি সুস্বাদু খাবারেই কাবু তাই, রান্নাঘরের প্রতি বেশি নজর থাকে অনেকের যেহেতু এই রান্নাঘরে বেশি আনাগোনা হয়ে থাকে মহিলাদের, সেই কারণে রান্নাঘরের নানা সমস্যায় তাদেরকেই সমাধানের পথ খুঁজে নিতে হয়। আজকের এই প্রতিবেদনে রান্নাঘরের এমনই একটি সমস্যাকে নিয়ে আলোচনা হবে, যা প্রায় প্রতিদিন প্রত্যেক রাঁধুনিকেই সহ্য করতে হয়।
কথা বলছি, রান্না করতে করতে হাতে ছ্যাঁকা লাগার বিষয়ে। রান্না করতে করতে গরম কড়াইয়ে বা হাঁড়িতে বা খুন্তিতে হাত লেগে পুড়ে যায় রাঁধুনিরা। আর যেহেতু মহিলাদের শরীরের ত্বক নরম, তাই পুড়ে গেলে তাদের ত্বক সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে পুড়ে যাওয়ার পর আমরা বেশ কিছু ভুল কাজ করে থাকি। এই কারণে ইনফেকশন বেড়ে যায় এই গ্রীষ্মকালে। তবে বেশ কিছু টোটকায় এই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। একনজরে দেখে নিন সেইসব টোটকা।
● টুথপেস্ট না লাগানো: অনেক সময় হাতে পুড়ে গেলেই আমরা চটজলদি সেখানে টুথপেস্ট লাগিয়ে দিই। এতে ক্ষতস্থান ঠান্ডা হয় ঠিকই, তবে টুথপেস্টে থাকা বিভিন্ন উপাদান ক্ষতস্থানের ক্ষতি করতে পারে। তাই পুড়ে যাওয়ার পর পর কখনোই সেখানে টুথপেস্ট লাগানো উচিত নয়। বরং কিছু পোড়া ঘায়ের মলম থাকলে লাগিয়ে নিন।
● ফোস্কা না ফাটানো: গরম হাঁড়িতে বা কড়াইয়ে হাতে ছ্যাঁকা লেগে যাওয়ার পর অনেকসময় সেখানে ফোস্কা পড়ে যায়। এবার অনেকেই সেই ফোস্কা ফাটিয়ে দেন এবং ভেতরের জল বের করে দেন। তবে এটি করা এক্কেবারর উচিত নয়। এটা করলে ইনফেকশনের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। বরং ফোস্কার উপর কিছু মলম লাগানো উচিত।
● বরফ না লাগানো: হাতে ছ্যাঁকা খাওয়া বা পুড়ে যাওয়ার পর জ্বালা কমাতে সেখানে বরফ লাগান অনেকেই। তবে এটি সাময়িকভাবে জ্বালা কমিয়ে দিলেও বরফের কারণে কোষের ক্ষতি হয়ে যায়। তাই কখনোই মিনিট দশেকের বেশি বরফ লাগাবেন না ক্ষতস্থানে।
● জলে হাত ডুবিয়ে না রাখা: পুড়ে যাওয়ার পর জ্বালা কম করতে ঠান্ডা জলে হাত ডুবিয়ে রাখা উচিত নয়। খুব বেশি হলেও পাঁচ মিনিট এটি করতে পারেন। তবে জল যেন খুব ঠান্ডা না হয়। খুব ঠান্ডা জ্বলে ক্ষতস্থানকে আরো বাড়িয়ে দেয়।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্যভিত্তিক। বাস্তব জীবনে কোনো সমস্যা হলে আগে বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিন।