আমরা কমবেশি অনেকেই বাড়িতে পোষ্য প্রাণী রাখতে ভালোবাসি। কারণ পশুর সঙ্গে মানুষের বন্ধুত্ব সেই আদিকাল থেকেই রয়ে গেছে। তাই পশুপাখিকে ভালোবেসে বাড়িতে রাখার শখ রয়েছে অনেকেরই। দেশে ও বিদেশে এমন অনেককেই দেখা যায়। এক্ষেত্রে কেউ কেউ যেমন বিড়াল পোষেন, কেউ আবার রাখেন টিয়া, ময়না, কাকাতুয়া, বদ্রির মতো নানা পাখি। তবে অনেকের আবার বাড়িতে কুকুর পোষার অভ্যেস রয়েছে। আজকাল অনেকের বাড়িতেই নানা জাতের কুকুর দেখা যায়।
এদিকে দেখতে দেখতে বঙ্গে হাজির গ্রীষ্মকাল। ইতিমধ্যে তাপমাত্রা চড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বাড়ছে অস্বস্তি। আর এই অস্বস্তি শুধুমাত্র মানুষের নয়, অন্যান্য প্রাণীদেরও গরমে অস্বস্তি হয়। তার মধ্যে অন্যতম হল বাড়ির পোষ্য কুকুর। বিশেষ করে বিদেশি জাতের কুকুরদের এই গ্রীষ্মে প্রবল কষ্ট হয়। অনেক কুকুর আবার এই গ্রীষ্মের দাবদাহ সহ্য করতে পারে না। সেই কারণে প্রখর গ্রীষ্মে পোষ্যদের মধ্যে বাড়ে নানা রোগের প্রকোপ।
তবে পোষ্যদের এইসব গ্রীষ্মকালীন অসুস্থতা তর্কে বাঁচাতে কয়েকটি বিষয়কে মাথায় রাখতে হবে। আর এক্ষেত্রে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল পোষ্যকে স্নান করানো। সাধারণত অনেকেই বাড়ির কুকুরকে সপ্তাহে একদিন স্নান করান। তবে এই গ্রীষ্মে তাদের প্রতিদিন স্নান করানো উচিত। কারণ গরমে শরীর গরম হতে শুরু করে। স্নান করানো হলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এত ফলে পোষ্য প্রাণীদের ডিহাইড্রেশন বা এই ধরণের সমস্যা হয়না সাধারণত। তাই এই গ্রীষ্মে আপনার পোষ্যকে স্নান করান নিয়মিত। এতেই গ্রীষ্মে পোষ্য থাকবে সুস্থ ও সবল।
তবে শুধু স্নান করালেই হবেনা। এই গ্রীষ্মে পোষ্যকে সুস্থ রাখতে তার খাবারের দিকেও বিশেষ নজর দিতে হবে। গ্রীষ্মে পোষ্যকে পর্যাপ্ত জল খাওয়াতে হবে। এক্ষেত্রে সামান্য নুন ও চিনি মিশিয়ে সেই জল খাওয়ালে গ্রীষ্মে পোষ্য প্রাণী সতেজ থাকবে শরীরের দিক দিয়ে। এছাড়াও গরমে কুকুর বা বিড়ালকে ফল খাওয়াতে হবে। এক্ষেত্রে তরমুজ বা শসা জাতীয় ফল খাওয়ানোর অভ্যাস বাড়াতে হবে। এছাড়াও রোদের মধ্যে পোষ্যকে বেশিক্ষন বাইরে ঘোরানো উচিত নয়। এইসব করলেই গ্রীষ্মে পোষ্য প্রাণীর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।