রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে গ্রীষ্মের দাপট। এপ্রিল শুরু হতে না হতেই শুরু হয়েছে তাপপ্রবাহ। গত কয়েকদিন ধরেই তীব্র গরমে পুড়েছে গোটা বাংলা। দক্ষিণবঙ্গে কার্যত হাঁসফাঁস পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বিগত কয়েকদিন ধরে। ইতিমধ্যে বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার মতো পশ্চিমের জেলাগুলিতে তীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে এপ্রিল মাসের শুরুতেই। তাপমাত্রা পেরিয়েছে চল্লিশ ডিগ্রির গন্ডি। এর মাঝে কলকাতায় তাপমাত্রা প্রায় চল্লিশ ছুঁইছুঁই।
আর এই গ্রীষ্মে বগলের দুর্গন্ধ আমাদের সবাইকেই কমবেশি বিব্রত করে। বগলে বিকট গন্ধ নিয়ে অনেকেই স্কুল, কলেজ, অফিসেও ঠিকমতো মিশতে বা কাছাকাছি ঘেঁষতে পারেন না। প্রেমিকার কাছাকাছি যেতেও লজ্জাবোধ করেন অনেকে। কিন্তু এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে কিভাবে? এর জন্য অনেকেই সুগন্ধি সাবান বা ডিও মেখে থাকেন সবসময়। তাতেও কাজের কাজ কিছুই হয়না। তবে বাড়ির বেশ কিছু উপাদান দিয়েই অনায়াসে মুক্তি পাওয়া যায় বগলের দুর্গন্ধ থেকে। কি কি সেই উপাদান? দেখুন।
● খাবার সোডা: খাবার সোডা দিয়ে শরীরের যেকোনো স্থানের দুর্গন্ধ দূর করা যায়। বগলের দুর্গন্ধ দূর করতে প্রথমেই একটি বাটিতে কিছুটা খাবার সোডা ও জল নিয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিন। এবার সেই মিশ্রণ বগলে লাগিয়ে শুকিয়ে নিন। এবার ঠান্ডা জলে বগল ধুয়ে ফেলুন। এতে সারাদিন আর বগলের দুর্গন্ধ থাকবে না।
● পাতিলেবু: বগলের গন্ধ দূর করতে পাতিলেবুও দারুন উপকারী। এর জন্য একটি পাতিলেবু অর্ধেক অর্ধেক কেটে নিন। এবার অর্ধেক পাতিলেবু একটি বগলে হালকা করে ঘষুন। আরেকটি টুকরো আরেকটি বগলে ঘষুন। অন্তত দশ মিনিট করে ঘষে শুকিয়ে নিন বগল। এতে সারাদিন আর দুর্গন্ধ থাকবে না বগলে।
● অ্যাপল সিডার: শরীরের দুর্গন্ধ তাড়াতে অ্যাপল সিডারও একটি ভালো বিকল্প হতে পারে। তবে এর সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে অল্প ভিনিগার। এই মিশ্রণ বগলে লাগিয়ে শুকিয়ে নিয়ে নিশ্চিন্তে বাইরে যান। দুর্গন্ধের বংশ থাকবে না দিনভর। তবে এই মিশ্রণ নিয়মিত লাগালে বগলের কালো দাগ দূর হয়। একইসঙ্গে বগলে থাকা ব্যাকটেরিয়া ও নানা ক্ষতিকর জীবাণুর নাশ করে এই মিশ্রণ।
● জল বেশি খাওয়া: উপরোক্ত যে পদ্ধতিই পালন করুন না কেন, এই গ্রীষ্মে জল কম খাওয়া হলে শরীরের দুর্গন্ধ যাবে না। তাই গ্রীষ্মে বগলের দুর্গন্ধ দূর করতে বেশি করে জল খাওয়া দরকার।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্যের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। যেকোনো শারীরিক সমস্যায় আগে বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিন।