আজকাল অনেকেই স্বাস্থ্য সচেতন। আজকাল কম বয়সে যেভাবে রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটছে শরীরে, এমনটা করা উচিত সকলেরই। আর স্বাস্থ্য সচেতনতার মধ্যে অন্যতম বিষয় হল নিরামিষ খাওয়া। তবর মাছ, মাংস বা ফিম ছাড়া নিরামিষের মধ্যে অন্যতম বিকল্প হল পনির। পনিরের অনেক ডিশ পছন্দ করেন সককেই। পনির হল একটি দুগ্ধজাত দ্রব্য। এটি দুধের প্রোটিন কেসিনের জমাট বাঁধার মাধ্যমে উৎপাদিত হয়। সাধারণত গরু, মহিষ, ছাগল বা ভেড়ার দুধ থেকে পনির তৈরি করা হয়, যা বাজারে কিনতে পাওয়া যায়।
পনির তৈরি করার জন্য প্রথমে ফুটন্ত দুধে অম্লজাতীয় পদার্থ যেমন, লেবুর রস অথবা ভিনিগার মিশিয়ে দেওয়া হয়। এর ফলে দুধ থেকে ছানা এবং জল আলাদা হয়ে যায়। এরপর একটি শুকনো কাপড়ে ছানা ছেঁকে অতিরিক্ত জল বের করে দেওয়া হয়। পরে ছানার মণ্ডটিকে ঠান্ডা জলে ২-৩ ঘণ্টা ডুবিয়ে কোনো ভারী ওজনের তলায় চেপে রাখা হয়। তবর আজকাল পনির তৈরিতে আটা, আলু, এরারোট এবং বিভিন্ন রাসায়নিক জাতীয় ভেজাল মেশানো হয়। কিন্তু এই ভেজাল পনির চিনবেন কিভাবে? নিম্নলিখিত কয়েকটি উপায়ে সেটি সম্ভব। একনজরে দেখে নিন এমন কয়েকটি উপায়।
● গন্ধ যাচাই: আমরা সবাই জানি যে পনিরের একটা মিষ্টি গন্ধ থাকে। তাই পনির কেনার আগের গন্ধ যাচাই করা জরুরি। পনিরের মধ্যে যদি আপনি তেমন মিষ্টি গন্ধ না পান তাহলে হতে পারে ভেজাল দ্রব্য বা রাসায়নিক দিয়ে সেই পনির বানানো হয়েছে কিংবা পনিরটি টাটকা ও তাজা নয়।
● হাতে নিয়ে যাচাই: পনিরের টুকরো হাতের তালুতে নিয়ে ঘষলে যদি তালু তৈলাক্ত হয়ে যায়, তাহলে বুঝবেন সেই পনির খাঁটি। তবে এমনটা না হলে পনিরটি ভেজাল। এছাড়াও পনির হাতে নিয়ে রাবারের মতো শক্ত মনে হলে সেটি ভেজাল হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এছাড়াও ভেজাল পনির হাতে নিয়ে ঘষলে ভেঙে যায়। নির্ভেজাল পনিরের ক্ষেত্রে তেমনটা হবেনা।
● আয়োডিন দ্বারা যাচাই: উল্লিখিত দুই উপায়ে পনির যাচাই সম্ভব না হলে পনিরকে যাচাই করা যায় আয়োডিনের মাধ্যমে। তার জন্য প্রথমে পনিরকে সেদ্ধ করে নিতে হবে। এবার সেটির মধ্যে কয়েকফোঁটা আয়োডিন টিংচার মিশিয়ে দিন। পনিরের রং নীল হয়ে গেলে বুঝবেন তাতে ভেজাল রয়েছে।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্যের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। উল্লিখিত উপায়ে পনিরের শতভাগ শুদ্ধতা যাচাইয়ের দাবি করেনা Hoophaap।