একটি সংসারের মধ্যে রান্নাঘর হল একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থান। তার কারণ হল এই রান্নাঘর থেকেই সমস্ত রকমের খাবার এসে সজ্জিত হয় খাবার টেবিলে। তাই যেহেতু এই রান্নাঘরে বেশি আনাগোনা হয়ে থাকে মহিলাদের, সেই কারণে রান্নাঘরের নানা সমস্যায় তাদেরকেই সমাধানের পথ খুঁজে নিতে হয়। নানা সমস্যার মধ্যে যেমন রয়েছে রান্নাঘরকে পরিষ্কার ও পোকামাকড়মুক্ত রাখা, তেমনই আবার রয়েছে রান্নার সব সরঞ্জাম ঠিকঠাক রাখা। আর এই দ্বিতীয় সমস্যাটি নিয়ে প্রায়ই চিন্তিত থাকেন বাড়ির মহিলারা।
তবে রান্নাঘরের সব সামগ্রী নিয়ে আসতে হয় বাড়ির কর্তাদের। কারণ বাজারের থলি হাতে বাড়ির পুরুষদেরকেই ছুটতে হয় বাজারে। তাই বাজার থেকে সঠিক ও খাঁটি জিনিস কিনে আনা সকলের গুরুদায়িত্ব। আর সর্ষের তেল হল এমন একটি জিনিস যা সকলের রান্নাঘরে লাগে মূলত। কিন্তু আজকাল সর্ষের তেলে যে পরিমানে ভেজাল হচ্ছে, তাতে করে খাঁটি সর্ষের তেল পাওয়া খুবই দুরূহ ব্যাপার। তবে কয়েকটি বিষয়কে মাথায় রাখলেই খাঁটি সর্ষের তেল চিনে নিতে পারবেন। এই নিবন্ধে আলোচনা করবো তেমনই কয়েকটি বিষয়ের সম্পর্কে।
● ঝাঁঝ বুঝে: সর্ষের তেল চেনা যায় তার ঝাঁঝে। এটি সর্ষের তেল চেনার একটি প্রাচীন পন্থা। তাই সর্ষের তেল কেনার আগে তার বোতলের ছিপি খুলে নিয়ে সেটির ঝাঁঝ পরীক্ষা করুন। আসল সর্ষের তেলের ঝাঁঝ হয় একটু বেশি। ঝাঁঝ কম হলেই বুঝে নিতে হবে যে সেটি ভেজাল।
● ফ্রিজে রেখে: এছাড়াও সামান্য সর্ষের তেলকে ফ্রিজে রেখে দিলেই তার আসল ও নকল ধরা পড়বে। এর জন্য তেলটিকে ফ্রিজে কমপক্ষে ২ ঘন্টা রাখতে হবে। তারপর তেলে যদি সাদা কোনো অধঃক্ষেপ দেখতে পান তাহলেই বুঝবেন যে তেলটি ভেজাল।
● নাইট্রিক এসিড দিয়ে পরীক্ষা: এছাড়াও নাইট্রিক এসিড দিয়ে সর্ষের তেলটি খাঁটি কিনা তা যাচাই করা যায়। এর জন্য সামান্য নাইট্রিক এসিড মিশিয়ে সেটিকে ঝাঁকাতে হবে। সেটির রং না বদল হলেই বুঝতে হবে তেলটি খাঁটি।
● ব্যারোমিটার দিয়ে পরীক্ষা: ব্যারোমিটার দিয়েও সর্ষের তেল পরীক্ষা করা যায়। এর জন্য ব্যারোমিটারে তেল ঢেলে দেখতে হবে তার মাপ। খাঁটি সর্ষের তেলের মাপ থাকবে ৫৮ থেকে ৬০.৫-এর মধ্যে।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্যভিত্তিক। বাজার থেকে যেকোনো জিনিস যাচাই করে তবেই কেন শ্রেয়।