রকমারি খাবার খাওয়াদাওয়া, বিদেশ বিভুঁইয়ে ঘোরাফেরা এবং দুপুরের ভাতঘুম ছাড়াও বাঙালি আরেকটি অভ্যাসেও বেশ পটু। আর সেটি হল স্মৃতিচারণা। শৈশবের স্মৃতিতে ফিরে যেতে আমরা কমবেশি সকলেই ভালোবাসি। তবে শুধু নিজের স্মৃতি নয়, আমরা অন্যের স্মৃতিতে ভাসতেও ভালোবাসি। গ্রীষ্মের ঘুমভাঙ্গা ছুটির বিকে হোক বা ক্লান্ত রাত, গরম চায়ে হালকা চুমুক দিয়ে স্মৃতিচর্চার বিষয়টি বাঙালির কাছে নয়নাভিরাম। এককথায় এই কাজে বাঙালির জুড়ি মেলা ভার।
আর এই শৈশবের স্মৃতি জুড়ে থাকে কনক জিনিসের মাধ্যমে। তা পুরানো ছবির এলবাম হোক কিংবা পুরানো কাঠের আলমারি। এখনো আমাদের অনেকের বাড়িতেই পুরানো আসবাবপত্র রয়ে গেছে, যেগুলি আমাদের স্মৃতি ফিরিয়ে দেয়। কিন্তু এই স্মৃতির ভাবনায় ব্যাঘাত ঘটাতে পারে কিছু পোকা। উইপোকা বা কাঠের পোকা এইসব আসবাবপত্রের ভেতরের কাঠ নষ্ট করে ফেলে। আর পূর্বপুরুষের আমলের সেইসব আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে গেলে মন খারাপ সকলেরই হয়। তবে কিছু উপায় অবলম্বন করলেই এগুলিকে ভালো রাখা সম্ভব। জেনে নিন এমন কয়েকটি উপায়।
● ফাঁকা স্থান পূরণ করা: কাঠের আসবাবপত্রের ফাটল দিয়ে পিক ঢুকে যায় ভেতরে। শেষমেষ সেই ফাটল বড় হয়ে আসবাবপত্র নষ্ট হয়। তাই কাঠের পুরানো জিনিসকে পোকার হাত থেকে বাঁচাতে সবার আগে তার ফাটলগুলি বুজিয়ে ফেলুন। এটি এম-সিল বা এই জাতীয় কোনো শক্ত জিনিস দিয়ে বুজিয়ে দিতে হবে ফাটল।
● আসবাবপত্র মোছামুছি করা: পুরানো আসবাবপত্র ভালো রাখতে হলে সেটির যত্ন নেওয়া জরুরি। তাই নিয়মিত সেইসব আসবাব থেকে ধুলো মুছে দিন। সেগুলির উপর কোনকিছু পড়ে গেলে তৎক্ষণাৎ মুছে দিন। এতে আসবাবপত্রের চকচকে ভাব দূর হবেনা। একইসঙ্গে পোকাদের দূরের রাখবে।
● রং ও রাসায়নিক ব্যবহার: কাঠের আসবাবপত্র ভালো রাখতে হলে পালিশ ও রং করা খুবই জরুরি একটি কাজ। প্রতি বছর অন্তত একবার ককরে আসবাবপত্র রং করাতে হবে। যদি পোকা দেখতে পান দু’একটা, তাহলে সেগুলিকে বের করে আসবাবে রাসায়নিকের প্রলেপ লাগিয়ে দিন এতে পোকা থাকবে দূরে।