আমাদের রোজকার দিনে এমন অনেক ক্ষুদ্র সমস্যার সৃষ্টি হয়, যার তাৎক্ষণিক সমাধান খুঁজতে আমাদের রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। সে গলায় মাছের কাঁটা আটকে যাওয়া হোক বা হেঁচকি ওঠা। এইসব সমস্যা প্রায় সিংহভাগ মানুষের মধ্যেই দেখা যায়। তবে হেঁচকির সমস্যা এসবের মধ্যে সবথেকে কষ্টদায়ক। হেঁচকি যার ওঠে সে’ই জানে এর কষ্ট। ঝাল বা শুকনো কিছু খেয়ে ফেললে হেঁচকি ওঠে। আবার আচমকা কোনো কটন ছাড়াও হেঁচকি উঠতে থাকে অনেকের। কারো ক্ষেত্রে আবার এই সমস্যা হয় জন্মগত।
কিন্তু কেন ওঠে হেঁচকি? বিশেষজ্ঞদের মতে ফুসফুসের নিচে থাকা ড্রায়াফ্রাম নামের পাতলা চামড়াটি হঠাৎ করে এটি সংকুচিত হলে হেঁচকি ওঠে। এছাড়াও ভ্যাগাস নার্ভের কাজ বন্ধ হয়ে গেলেও হেঁচকির সমস্যা দেখল দেয়। অতিরিক্ত মদ্যপান, অতিদ্রুত খাবার খাওয়া, ঝাঁঝালো পানীয় পান করার কারণে হেঁচকি উঠতে পারে। এগুলিতে কিছু ভয়ের কারণ নেই। ভয়ের কারণ তখনই হয়, যখন কোন কিছুতেই হেঁচকি বন্ধ হয় না। তাই হেঁচকি বন্ধের কয়েকটি সহজ উপায় জেনে নিন।
● কান বন্ধ রাখা ও বড় স্বাস নেওয়া: হেঁচকি শুরু হলে প্রথমেই জিভকে বাইরে বের করে নিন কয়েক সেকেন্ডের জন্য। তারপর জোরে নিশ্বাস নিন। এবার দুই হাতের আঙ্গুল দিয়ে দুই কান চেপে ধরুন। এভাবে কয়েক সেকেন্ডের জন্য নিঃশ্বাস বন্ধ রাখুন। দেখবেন হেঁচকি বন্ধ হয়ে গেছে।
● বরফ-জল খেয়ে নেওয়া: আচমকা হেঁচকি উঠতে থাকলে একটি গ্লাসে বরফ জল নিয়ে সেটিকে আস্তে আস্তে খেয়ে নিন। দেখবেন মিনিটে কমে যাবে হেঁচকি।
● পিনাট বাটার বা মধু খাওয়া: গলা শুকনো না থাকলেও অনেক সময় হেঁচকি ওঠে। এই অবস্থায় জল পান করলেও কাজ হয়না। তাই এক্ষেত্রে বাড়িতে পিনাট বাটার থেকে এক চামচ খেয়ে নিন। কিংবা মধু থাকলেও খেতে পারেন এক চামচ। এতে হেঁচকি বন্ধ হয়ে যাবে।
● চিনি খেয়ে নেওয়া: হেঁচকি উঠতে থাকলে এক চামচ চিনি জিভের নীচে রেখে দিয়ে রক্ত মিনিট রেখে আস্তে আস্তে সেটি খেয়ে ফেলুন। এতে হেঁচকি বন্ধ হবে।
● লেবু খেয়ে নেওয়া: হেঁচকি বন্ধের জন্য লেবুর রসও দারুন কাজ করে। ক্রমাগত হেঁচকি উঠতে থাকলে একটি লেবু নিংড়ে সেই রস এক ঢোকে খেয়ে ফেলুন। এতে উপকার মিলবে।
Disclaimer: সাধারণ হেঁচকি বন্ধের উপায় এগুলি। হেঁচকি বন্ধ না হলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।