মানুষ হল সৌন্দর্যের পূজারী। সেই কারণেই নিজের রূপচর্চা করতে কোন মহিলাই না পছন্দ করেন। কিন্তু ব্যস্ত জীবনে এত সময় কোথায় আমাদের! সারাদিন অফিস, অফিস শেষে বাড়ির নানা কাজ, তারপর ঘুমোনোটাও জরুরি শরীরের জন্য। তাই আজকাল সময়ের অভাবে রূপচর্চা থেকে বিরত থাকেন অনেক মহিলাই। আর এই কারণেই ত্বকের নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় আমাদের। যা মিয়ে শারীরিক এমনকি সামাজিক জীবনেও নানা ভোগান্তির শিকার হতে হতে হয় আমাদের। আর এইসব সমস্যা নিয়ে টেনশন করেন অনেকেই।
এদিকে দেখতে দেখতে গ্রীষ্মের প্রভাব শুরু হয়ে গেছে রাজ্যজুড়ে। দিন দিন তাপমাত্রা বাড়ছে এক ডিগ্রি, দুই ডিগ্রি করে। আর এই গ্রীষ্মে ত্বকের যেসব সমস্যা হয় তার মধ্যে অন্যতম ঘামাচির সমস্যা। গ্রীষ্মকালে ঘাম থেকে ত্বকের উপর হওয়া র্যাশকে বলে ঘামাচি। এটা কমবেশি সকলেরই হয়। তবে এর থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই বাজারে উপলব্ধ নানা পাউডার ব্যবহার করেন। তবে তাতে ঘামাচির প্রভাব বাড়ে বই কমেনা। তবে বেশ কিছু ঘরোয়া টোটকায় ঘামাচি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। একনজরে দেখে নিন এমন কিছু টোটকা।
● এলোভেরা: ত্বকের যেকোনো সমস্যায় এলোভেরা দারুন উপকারী। ঘামাচি দূর করতেও এলোভেরার বিকল্প নেই। এর জন্য এলোভেরার রস বেত করে নিয়ে তার সাথে কাঁচা হলুদ পেস্ট করে মিশিয়ে ঘামাচির উপর লাগাতে হবে। মিনিট কুড়ি পর ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে দিন সাতেক করলেই উপকার মিলবে।
● নিম পাতা: ত্বকের জন্য উপকারী আরেকটি জৈব টোটকা হল নিম পাতা। ঘামাচি দূর করতেও নিম পাতা ব্যবহার করা যায়। এর জন্য নিম পাতার রস করে তার সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে লাগান ঘামাচির উপর। প্রতিদিন করলে উপকার চোখে পড়বে।
● চন্দন: ঘামাচি দূর করতে চন্দনও দারুন একটি টোটকা। এক্ষেত্রে চন্দন কাঠের গুঁড়ো বা চন্দন বাটা ব্যবহার করতে পারেন। যেটিই নেবেন, তার সঙ্গে কয়েকফোঁটা গোলাপ জল মিশিয়ে ঘামাচির উপর লাগিয়ে রাখতে হবে আধঘন্টা। চন্দন যেহেতু ঠান্ডা, তাই এর প্রভাবে ঘামাচি দূর হয় সহজেই।
● মুলতানি মাটি ও গোলাপ জল: ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী উপাদান হল মুলতানি মাটি। এক চামচ মুলতানি মাটি নিয়ে তার সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে ঘামাচির জায়গায় লাগাতে হবে। এতে ঘামাচি অনেকটা কমে যাবে।
● বরফ: ঘামাচির জ্বালা থেকে মুক্তি পেতে হাতের কাছে কিছু না থাকলে ফ্রিজ থেকে কয়েকটুকরো বরফ বের করে নিয়ে সেগুলিকে একটি কাপড়ে বেঁধে সেই কাপড় বোলাতে হবে ঘামাচির উপর। এতে কিছুটা উপকার পাওয়া যায়।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্যভিত্তিক। বাস্তবে ত্বকের যেকোনো সমস্যায় আগে বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নেওয়া শ্রেয়।