শেষ হতে চলল মার্চ মাস। বসন্তের এই সমাগমের মাঝেই গ্রীষ্মের অনুভূতি শুরু হয়েছে বাংলায়। যদিও মার্চের শুরু থেকেই শীত যেন উধাও হয়েছিল বাংলা থেকে। তবুও অকাল বৃষ্টি শীতের আমেজ কিছুটা ধরে রেখেছিল দক্ষিণবঙ্গে। তাই বসন্তের শুরুতেও পারদ পতন অব্যহত ছিল বাংলায়। তবে সেই সুখ যে এবার এই বছরের জন্য শেষ হতে চলেছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ ইতিমধ্যে পারদের অঙ্কটা বাড়ছে জেলায় জেলায়। একইসঙ্গে সকাল-সন্ধ্যে শীতের আমেজও উধাও হচ্ছে একটু একটু করে।
এবার দিন দিন তাপমাত্রা বাড়ছে একটু একটু করে। আর দক্ষিণবঙ্গের গ্রীষ্ম মানেই প্রখর গ্রীষ্ম। আর বাড়ির মধ্যে এই গরম থেকে বাঁচতে অনেকেই এয়ার কন্ডিশনার লাগিয়ে থাকেন বাড়িতে। তবে অনেকেরই এসিতে এলার্জি রয়েছে। আবার কেউ কেউ এসি পছন্দ করেন না। আর এই গ্রীষ্মে এইসব মানুষদের গরমের হাত থেকে বাঁচার জন্য বেশ কিছু উপায় রয়েছে। একনজরে দেখে নেব এমন কয়েকটি উপায়।
● গৃহসজ্জা: বাড়ির ভেতরের রং অনেক সময় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। তাই বাড়ির ভেতরে নীল বা হালকা জাতীয় কিছু রং করা উচিত। তবে প্রলটি ঋতুতে বাড়ি রং করানো সম্ভব হয়না। তাই এই গ্রীষ্মে বাড়ির অন্যান্য জিনিসের রং বদলে ফেলা ভালো। এক্ষেত্রে গ্রীষ্মে বিছানার চাদর, জানালা ও দরজার পর্দা সবসময় হালকা রংয়ের লাগানো উচিত। এমনটা হলে রুমের ভেতরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
● বাড়িতে গাছ রাখা: এখন বাড়তে অনেকেই ইন্ডোর প্ল্যান্ট লাগিয়ে থাকেন। গ্রীষ্মে বাড়ির ভেতরে গাছ রাখা হলে রুমের তাপমাত্রা অনেক্টস কম থাকে। তাই যাদের বাড়িতে গাছ রয়েছে তারা আরো বেশি করে গাছ রাখতে পারেন রুমের মধ্যে। তবর চেষ্টা করবেন যাতে সবুজ পাতা যুক্ত গাছ রাখা যায় বাড়িতে।
● জানালা দরজায় মাদুরের ব্যবহার: গ্রীষ্মের দুপুরে বাড়ির জানালা দরজা বন্ধ করে রাখুন। আর যেটুকু সময় জানালা দরজা খোলা রাখবেন, সেই সময়ে চেষ্টা করুন যাতে জানালা ও দরজায় মোটা মাদুর বা কার্পেট জাতীয় কিছু লাগিয়ে রাখতে। এটিকে ভিজিয়ে দিলে বাড়ির ভেতরে তাপমাত্রা কমে যায়। এসির পরিবর্ত হিসেবে এটিকে ব্যবহার করতে পারেন। এতে গ্রীষ্মে অনেকটা স্বস্তি মিলবে।