দেখতে দেখতে বসন্তের প্রভাবে বাড়ছে গরম। রীতিমতো গ্রীষ্মকালের মতো পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বাংলায়। আর এই গ্রীষ্মে একটি জনপ্রিয় ফল হল তরমুজ। এটি গরমে খুব উপকারী একটি ফল। কারণ তরমুজে খুব সামান্য পরিমাণ ক্যালরি আছে। তাই তরমুজ খেলে শরীরের ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার কোনো আশঙ্কা থাকে না। তরমুজের ৯২ শতাংশই হল জল। তাই শরীরে জলের অভাব পূরণ করার জন্য তরমুজই হলো আদর্শ ফল। তরমুজে আছে পর্যাপ্ত ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, পটাশিয়াম ও ফাইবার। এছাড়াও এই ফলটির রয়েছে নানা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। কারণ তরমুজে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।
তবে আমরা প্রায় সবাই তরমুজ খেয়ে তার বীজ বেছে ফেলে দিই। আর অজান্তেই করে ফেলি বড় ভুল। কারণ তরমুজের বীজে রয়েছে নানা উপকারী গুনাগুন। তাই তরমুজের বীজ ফেলে দেবেন না এক্কেবারে। বিরঙ বীজগুলি ভালোভাবে ধুয়ে নিন। এতে পিচ্ছিল ভাব চলে যাবে। তারপর সেগুলিকে রোদে শুকিয়ে নিন। এবার শুকনো কড়াইতে সেগুলি ভেজে লবন ও চাট মশলা দিয়ে খেতে পারেন। এখন জেনে নিন যে এর মধ্যে উপকারী গুনাগুন কি কি রয়েছে।
● যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসায়: আজকাল বিশ্বব্যাপী যেসব রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে, তার মধ্যে অন্যতম হল যক্ষ্মা। তবে এই রোগ হওয়া থেকে আমাদের রক্ষা করতে পারে তরমুজের বীজ। জার্নাল অফ ফার্মাকোগনোসি অ্যান্ড ফাইটোকেমিস্ট্রি-এর দ্বারা চালানো একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে তরমুজের বীজ নিয়মিত খেলে যক্ষ্মা রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
● স্নায়ু ও পেশীর উপকারে: স্নায়ুর সমস্যায় অনেকেই ভুগছেন আজকাল। তবে তরমুজের বীজ খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কারণ এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে পটাশিয়াম। সেই কারণে এটি নিয়মিত খেলে স্নায়ু এবং পেশীর নানাবিধ সমস্যা দূর হয়।
● হৃদপিন্ড ভালো রাখতে: আমাদের শরীরের অন্যতম প্রধান অঙ্গ হল হৃদপিন্ড। তাই হৃদপিন্ডকে ভালো রাখা জরুরি। আর হৃদপিন্ড ভালো রাখতে তরমুজের বীজের জুড়ি মেলা ভার।
● কিডনি ভালো রাখতে: গ্রীষ্মে জল কম খাওয়ার কারণে কিডনির সমস্যা বৃদ্ধি পায়। তবে নিয়মিত তরমুজের বীজ খাওয়ার অভ্যাস থাকলে কিডনি ভাল কিডনির ওপর কোনও রকম চাপ পড়ে না এবং শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ভালো থাকে।
● ফুসফুস ভালো রাখতে: শরীরের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল ফুসফুস, যা আমাদের শরীরের স্বাস প্রক্রিয়াকে চালনা করে। আর ফুসফুসের কোনরূপ সংক্রমণ রোধ করতে নিয়মিত তরমুজের বীজ খেতে হবে। এতে অনেকটা উপকার হবে।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্যভিত্তিক। বড়সড় কোনো শারীরিক সমস্যায় আগে বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিন।