সামনেই মকর সংক্রান্তি। অর্থাৎ, পৌষ মাস প্রায় শেষের মুখে। আর পৌষের শেষ সপ্তাহ গড়াতে না গড়াতেই প্রবল শীতের চাদরে ঢেকে গেছে গোটা রাজ্য। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব কেটে যাওয়ার পর যেন শীতের দোর খুলে গিয়েছে বাংলা বুকে। সেই সঙ্গে উত্তরে হাওয়ার দাপটে আপাতত বাংলার বুকে দাপট দেখাচ্ছে শীত। ইতিমধ্যে, দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ঘটেছে ব্যাপক পারদ পতন। সেই সঙ্গে শহর কলকাতাও এখন ঠান্ডায় জুবুথুবু। উত্তরবঙ্গেও নিয়মমাফিক শীত পড়েছে।
আর এই শীতকাল মানেই বাজারে পাওয়া যায় হরেক রকমের ফল ও সবজি। এখন বাজারে গেলেই গেলেই বাঁধাকপি, ফুলকপি, গাজর ও মুলো, পালং শাকের মতো সবজি না নিয়ে কেউ বাড়ি ফেরেন না। তবে শীতকালের অন্যতম একটি জিনিস হল ধনেপাতা। শীতকালে এই বেশি মাত্রায় পাওয়া যায়। সেই কারণে চিকেন হোক বা মাটন কিংবা মাছ অথবা যেকোনো সবজি, অথবা চাটনি- সবেতেই ধনেপাতা দেওয়ার রীতি কমবেশি সব বাড়িতেই রয়েছে। কিন্তু জানেন কি অতিরিক্ত ধনেপাতা খাওয়ার ফলাফল ঠিক কি হতে পারে? জানতে হলে চোখ রাখুন নিবন্ধের বাকি অংশে।
● হজমের সহায়তায়: ধনেপাতা যেহেতু একপ্রকার শাক, তাই এটি সহজে যেমন হজম হয়, তেমন এটি পরিপাক প্রক্রিয়াতেও সাহায্য করে। এর ফলে আমাদের সমস্ত খাবার ঠিকমতো হজম হয় যায় এবং শরীর থেকে সুস্থ। কারণ হজম ঠিকমতো হলেই শরীর থেকে অনেক রোগ বিদায় নেয়।
● দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে: ধনেপাতায় রয়েছে ভিটামিন-এ-এর মত গুরুত্বপূর্ণ একটি ভিটামিন, যা দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। সেই কারণে বেশি মাত্রায় ধনেপাতা খাওয়া হলে বেশি মাত্রায় ভিটামিন-এ শরীরে যায়। এর ফলে যেমন দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায়, তেমনভাবে চোখের নানা রোগ থেকেও মুক্তি মেলে।
● রক্তাল্পতা দূরীকরণে: আজকালকার দিনে রক্তাল্পতা একটি বড় সমস্যা রূপে আত্মপ্রকাশ করছে। আর এই রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে ধনেপাতা। কারণ এতে প্রচুর পরিমানে আয়রন রয়েছে, যা রক্তাল্পতা দূর করতে সহায়তা করে।
● রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে: ধনেপাতা হল ব্যভিন্ন ভিটামিন ও খনিজে সমৃদ্ধ একটি সবজি। এতে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি এবং পটাশিয়াম। এর মধ্যে ভিটামিন-সি আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। একইভাবে ক্যালসিয়াম হাড়কে মজবুত করে তোলে।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্যের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এইসব সমস্যার শতভাগ সমাধান দাবি করেনা Hoophaap।