দেখতে দেখতে হাজির গ্রীষ্মকাল। ইতিমধ্যে তাপমাত্রা চড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বাড়ছে অস্বস্তি। আর এই গ্রীষ্মের সময়ে শরীরের পক্ষে উপকারী কয়েকটি ফলের মধ্যে অন্যতম হল লেবু। পাতিলেবু হোক বা কমলালেবু বা গন্ধরাজ লেবু- গ্রীষ্মে যেকোনো লেবু খেতে ভালো লাগে। তীব্র গরমে শরীরের ক্লান্তি দূর করতে এক গ্লাস লেবুর শরবত হলে প্রাণটা জুরিয়ে যায়। লেবু আমাদের অনেকেরই প্রিয়।
তবে শুধু স্বাদ নয়, লেবুর অনেক উপকারী গুনাগুন রয়েছে। লেবু যেমন শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, তেমনই নিয়মিত লেবু খেলে ত্বক পরিষ্কার থাকে। এছাড়াও কিডনি পাথর রুখতেও লেবু দারুন বিকল্প। তবে অনেকের মতে ওজন কমাতে দারুণ উপকারি লেবু। অনেকের কাছে আমরা শুনে থাকি যে লেবু খেলে শরীরের মেদ ঝরে যায়। কিন্তু এটি কি সত্যিই! আজ্ঞে হ্যাঁ, লেবু খেলে শরীরের মেদ কমে। তবে শুধু লেবু খেয়ে বসে থাকলে হবেনা, করতে হবে নিয়মিত শরীরচর্চাও। তবে লেবুর সঙ্গে এই তিনটি জিনিস মিশিয়ে খেলে শরীরের মেদ ঝরে তাড়াতাড়ি। জেনে নিন এই তিনটি জিনিস সম্পর্কে।
● কাঁচা হলুদ: রূপচর্চা ও ত্বকের যত্নে কাঁচা হলুদের বিকল্প কিছু হয়না। তবে মেদ ঝরাতেও কাঁচা হলুদ একটি দারুন বিকল্প হিসেবে কাজ করে। কারণ কাঁচা হলুদে রয়েছে বেশ কিছু অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট, অ্যান্টি ইনফ্লেম্যাটরি উপাদান। এই দুই উপাদান তলপেটের মেদ ঝরিয়ে দেয়। পাশাপাশি সামগ্রিক স্থূলতা কমাতেও এটা দারুন উপকারী। এর জন্য প্রথমে এক গ্লাস জলে একটি গোটা লেবু নিংড়ে নিন। এবার তার সঙ্গে কাঁচা হলুদ গ্রেট করে মিশিয়ে নিন। এটি রোজ সকালে খেতে হবে।
● চিয়া সিড: মেদ ঝরানোর জন্য আরেকটি দারুন উপকারী সামগ্রী হল চিয়াদানা। এই দানায় যেমন রয়েছে পর্যাপ্ত ফাইবার, যা খাবার হজম করে সঠিকভাবে পাচন ঘটায়৷ এছাড়াও এই দানায় থালা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন ও অন্যান্য ভিটামিন তলপেটের মেদ ঝরায় দ্রুত৷ এর জন্য প্রথমে এক গ্লাস জলে একটি গোটা লেবু নিংড়ে নিন। এবার তার সঙ্গে এক চামচ চিয়া সিড মিশিয়ে নিন। এটি রোজ সকালে খেতে হবে।
● কাঁচা আদা: কাঁচা আদা লেবুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলেও মেদ কমে। আদার অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট গুণ কমায় অক্সিডেটিভ স্ট্রেস, যার কওরণে হজমের সমস্যা দূর হয় এবং শরীরের মেটাবলিক হার বৃদ্ধি পায়৷ এর ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। এর জন্য প্রথমে এক গ্লাস জলে একটি গোটা লেবু নিংড়ে নিন। এবার তার সঙ্গে কাঁচা আদা গ্রেট করে মিশিয়ে নিন। এটি রোজ সকালে খেতে হবে।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্যভিত্তিক। বাস্তবে এই টোটকার শতভাগ সাফল্য দাবি করেনা Hoophaap।