বাঙালির কাছে চা হল একটা অনুভুতি। শীত হোক বা গ্রীষ্ম হোক বা বর্ষা কিংবা মাঝের কোনো ঋতু, চা পানের অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা অনেক ক্ষেত্রে বলেন যে চা খেলে নাকি ত্বকে অনেক সমস্যা দেখা দেয়। তবে আবার যারা চায়ের প্রতি দুর্বল, তারা চায়ের উপর এমন অপবাদের বিরোধিতা করেন। তাই চা ভালো নাকি খারাপ- এই দ্বন্দ্ব প্রায়ই শোনা যায় নানা মহলে। তবে চা হল বাঙালি তথা ভারতবাসীর কাছে ঘুম ভাঙার পর প্রথম পানীয় হল চা।
এবার অনেকেরই শুধু চা খাওয়ার অভ্যাস নেই। কারণ চায়ের সঙ্গে বিস্কুট খাওয়ার রীতি ব্যাপকভাবে প্রচলিত রয়েছে ঘরে ও বাইরে। এবার চায়ে বিস্কুট ডুবিয়ে খেতে পছন্দ করেন প্রায় সবাই। দুধ চা হোক বা লাল চা কিংবা গ্রীন টি- বিস্কুটের ডুব না হলে কোনো চা খেয়েই নাকি শান্তি হয়না অনেকের। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে চায়ে বিস্কুট ডুবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস অনেক শারীরিক ক্ষতি করে। এর থেকে অনেক রোগ হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। আসুন জেনে নিই, চায়ে বিস্কুট ডুবিয়ে খাওয়ার ক্ষতিকর প্রভাবগুলি কি কি।
● ওজন বৃদ্ধি: বিস্কুটে প্রচুর পরিমানে শর্করা ও ক্ষতিকর ফ্যাট থাকে। আর চায়ের সঙ্গে ডুবিয়ে বিস্কুট খেলে এইসব উপাদানের ক্ষতি বেশি হয়। সেই কারণে শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও বিস্কুটের মধ্যে থাকা অতিরিক্ত পরিমাণের সোডিয়াম শরীরকে ডিহাইড্রেট করে তোলে। এর ফলে শরীর ফুলে যাওয়া ও ফেঁপে যাওয়ার সমস্যা বাড়ে। একইসঙ্গে বৃদ্ধি পায় শরীরের ওজন।
● কোলেস্টেরল ও ডায়াবেটিস বৃদ্ধি: কোলেস্টেরল বৃদ্ধি ও ডায়াবেটিসের ভয়ে চিনি ছাড়া চা খেলেও সঙ্গে যদি একটিও বিস্কুট খান, তাহলে সেটি শরীরে সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে থাকে। একইসঙ্গে বিস্কুটে থাকা অতিরিক্ত নুনের কারণে চায়ে ভিজিয়ে বিস্কুট খাওয়া হলে রক্তচাপ বৃদ্ধির সমস্যাও দেখা দেয়।
● ইমিউনিটি হ্রাস: যারা নিয়মিত চিনি দিয়ে চা খান এবং চায়ে ভিজিয়ে বিস্কুট খান তাদের শরীরে মারাত্মক কিছু ক্ষতি হতে পারে। কারণ চা ও বিস্কুটের অতিরিক্ত শর্করা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ভেঙে ফেলে। এতে সহজেই ঠান্ডা লেগে যাওয়া বা পেটের সমস্যায় ভুগতে হবে।
● হজমের সমস্যা: বিস্কুটে সাধারণত ময়দা ও ফাইবার থাকে। তাই মাঝেমধ্যে চা দিয়ে বিস্কুট খেতেই পারেন। তবে রোজ এমনটা করলে কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা বৃদ্ধি পায়। একইসঙ্গে ময়দা হজম করতে অনেকের সমস্যা হয়। তাই তারা চায়ে ভিজিয়ে বিস্কুট খেলে গ্যাস ও অম্বলের মতো সমস্যা বেড়ে যায়।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্যভিত্তিক। বাস্তব জীবনের যেকোনো সমস্যায় আগে বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নেওয়া উচিত।