রাস্তাঘাটে দশজনের একজন হওয়ার ইঁদুর দৌড়ে আজ সবাই দৌড়াচ্ছে। সে পোশাকের চমক হোক বা রূপচর্চার। আর তা হবে নাই বা কেন। সামনের মানুষটির কাছে তো আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে সবাই চায়! কিন্তু আকর্ষণীয় হওয়া তো আর মুখের কথা নয়। এমনটা হতে হলে করতে হয় অনেক যত্ন। আর বিশেষ করে মহিলারা নিজের প্রতি একটি বেশিই যত্নশীল হয়ে থাকেন। পোশাক পরিচ্ছদ থেকে সাজের প্রসাধনী, এসব কিছু পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের কাছেই বেশি থাকে।
আজকাল প্রায় সব মহিলাই মেকআপ করে থাকেন। মেকআপের মাধ্যমে যেমন দূর হয় মুখের যেকোনো দাগ, তেমনই আবার মুখের রংকেও বদলে ফেলা যায়। তবে সাধারণত মেকআপ বলতে অনেকেই বোঝেন লিপস্টিক আর কাজল। তাই লিপস্টিক আজকাল দেদার বিকোচ্ছে বাজারে। কিন্তু এই লিপস্টিক থেকে ঠোঁটের অনেক ক্ষতি হতে পার, এটা হয়তো অনেকেই জানেন না। লিপস্টিকের ক্ষতিকর দিকগুলি জানলে আপনিও অবাক হবেন। তাই লিপস্টিক কেনার বা ব্যবহার করার আগে সচেতন হয়ে যাওয়া ভালো। একনজরে দেখে নিন লিপস্টিক সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
● লিপস্টিকের ক্ষতিকর দিক: লিপস্টিক থেকে ঠোঁটের নানাবিধ ক্ষতি হতে পারে। যেমন কোনো শুকনো ত্বকের অধিকারিণী মহিলা যদি শুকনো লিপস্টিক ব্যবহার করেন, তার ঠোঁট ফেটে যেতে পারে। একইভাবে লিপস্টিকে থাকা বিভিন্ন রাসায়নিক ঠোঁটের ক্ষতি করে। ঠোঁট কালো হয়ে যায়, যেভাবে ধূমপানের কারণে হয়। এছাড়াও বিভিন্ন সংক্রমণ ঠোঁট থেকে মুখের ভেতর দিয়ে গলা অবধি পৌঁছে যায়। এর পরিণাম মারাত্মক হতে পারে।
● সঠিক লিপস্টিক নির্বাচন: শরীরের এইসব ক্ষতি রুখতে সবসময় সঠিক লিপস্টিক নির্বাচন করা জরুরি। এক্ষেত্রে আপনার ত্বক যদি শুস্ক হয় তাহলে কোনোভাবেই শুস্ক বস ম্যাট ফিনিশ লিপস্টিক ব্যবহার করবেন না। এক্ষেত্রে লিপস্টিক কেনার আগে তার উপাদান পড়ে দেখে নিতে হবে সে সেখানে পেট্রোলিয়াম জেলি বা মাখনের উল্লেখ রয়েছে কিনা।
● প্যাচ টেস্ট করানো: অনেকসময় অনেক রাসায়নিক থেকে এলার্জি হতে পারে শরীরে। আর এই এলার্জির কারণ সবার ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। তাই লিপস্টিক কেনার আগে সেটির প্যাচ টেস্ট করিয়ে নিতে হবে। এক্ষেত্রে যদি আপনার লিপস্টিকে কোন ক্ষতিকর উপাদান থাকে, তাহলে সেই লিপস্টিক ব্যবহার না করাই শ্রেয়।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্যের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। যেকোনো প্রসাধনী কেনার আগে বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিন।