সামনের মানুষটির কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে কেই না চায়! সে পুরুষ হোক বা নারী, নিজের প্রতি যত্নশীল আজ সকলেই। রাস্তাঘাটে দশজনের একজন হওয়ার ইঁদুর দৌড়ে আজ সবাই দৌড়াচ্ছে। আজকাল শুধু মহিলারা নয়, সৌন্দর্য রক্ষায় তৎপর পুরুষরাও। চুল থেকে ত্বক, সবকিছুর প্রতি যত্নশীল ছেলেরাও। কিন্তু এই যত্নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে গ্রীষ্মকাল। গ্রীষ্মে মাথা থেকে যে ঘাম নির্গত হয় তা চুলের গোড়ায় জমে চুলের নানা সমস্যা সৃষ্টি করে। তাই এই সময়ে খুশকির সমস্যায় যেমন ভোগেন অনেকে, তেমনই আবার চুল পড়ার সমস্যা অনেককেই বিব্রত করে।
আজকাল চুল পড়া যেন একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে পুরুষদের কাছে। আজকাল সব জায়গাতেই অনেক মানুষের মাথায় টাক দেখা যায়। এমনকি এটি এখন কোনো বয়স মানে না। আজকাল কম বয়সী পুরুষদের মধ্যেও চুল পড়ে টাক হয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তবে একটি ঘরোয়া উপায়ে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। বলা যায়, আমাদের রান্নাঘরে থাকা একটি জিনিস দিয়েই এই বড় সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে অনায়াসে। আর সেই জিনিসটি হল মেথি। সেই ঘরোয়া টোটকা নিয়েই আলোচনা করা হল এই নিবন্ধে।
চুল পড়া রোধ করতে এবং নতুন চুল গজাতে ব্যাপক সাহায্য করে মেথি। মেথি গুঁড়ো ও মেথির দিয়ে কাজটি করা যেতে পারে। খুব সহজ পদ্ধতিতে মেথির দুই ধরণের টোনার বানিয়ে নিয়ে তা সঠিকভাবে ব্যবহার করলেই মিলবে সুফল। কারণ, গবেষণায় দেখা গেছে যে মেথিতে রয়েছে হাইপোকোলেস্টেরলেমিক, ল্যাক্টেশন সহায়ক, ব্যাকটেরিয়ারোধী, গ্যাস্ট্রিক উদ্দীপক, অ্যানোরেক্সিয়ার জন্য, অ্যান্টিডায়াবেটিক এজেন্ট, গ্যালাক্টোগগ সহ নানা ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। আর এই সবকটি আমাদের চুলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই কারণেই মেথি থেকেই মুক্তি মিলতে পারে এই বড় সমস্যার।
মেথির পেস্ট তৈরির জন্য আপনাকে একটি পাত্রে এক চামচ মেথি নিতে হবে। এবার সেটিতে জল ঢেলে রেখে দিতে হবে। সারারাত ভেজানোর পর সকালে জল ছেঁকে সেটিকে পেস্ট বানিয়ে নিন ব্লেন্ডার মেশিনে। এবার সেই পেস্ট চুলে লাগিয়ে এক ঘন্টা রেখে শ্যাম্পু করে নিন। প্রতিদিন সম্ভব না হলে সপ্তাহে অন্তত একবার করুন এটি। এছাড়াও প্রতিদিনের জন্য শুকনো খোলায় মেথি হালকা ভেজে সেটিকে মিহি করে গুঁড়ো করে নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। প্রতিদিন চুলে এই মিশ্রণ লাগিয়ে ঘন্টাখানেক রেখে শ্যাম্পু করে নিন। এই দুই কাজ নিয়মিত করলে একমাসের মধ্যে উপকার আপনার নিজের চোখে পড়বে।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্যভিত্তিক। বাস্তবে যেকোনো সমস্যায় আগে বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিন।