সামনের মানুষটির কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে কেই না চায়! কিন্তু আকর্ষণীয় হওয়া তো আর মুখের কথা নয়। এমনটা হতে হলে করতে হয় অনেক যত্ন। তাই পুরুষ হোক বা নারী, নিজের প্রতি যত্নশীল আজ সকলেই। রাস্তাঘাটে দশজনের একজন হওয়ার ইঁদুর দৌড়ে আজ সবাই দৌড়াচ্ছে। আজকাল শুধু মহিলারা নয়, সৌন্দর্য রক্ষায় তৎপর পুরুষরাও। চুল থেকে ত্বক, সবকিছুর প্রতি যত্নশীল ছেলেরাও। কিন্তু এই যত্নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে গ্রীষ্মকালে। গ্রীষ্মকালে ত্বক ও চুলের দেখা দেয় নানা সমস্যা। খুশকির সমস্যায় যেমন ভোগেন অনেকে, তেমনই আবার চুল পড়ার সমস্যা অনেককেই বিব্রত করে।
তবে শীত হোক বা গ্রীষ্ম হোক বা বর্ষা কিংবা মাঝের কোনো ঋতু, চা পানের অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা অনেক ক্ষেত্রে বলেন যে চা খেলে নাকি ত্বকে অনেক সমস্যা দেখা দেয়। তবে আবার যারা চায়ের প্রতি দুর্বল, তারা চায়ের উপর এমন অপবাদের বিরোধিতা করেন। তাই চা ভালো নাকি খারাপ- এই দ্বন্দ্ব প্রায়ই শোনা যায় নানা মহলে। তবর যদি চায়ের কথায় আসা যায়, চা হল বাঙালি তথা ভারতবাসীর কাছে ঘুম ভাঙার পর প্রথম পানীয় হল চা। তবে চা দিয়েই হবে চুলের যত্ন। এটা শুনে অবাক হলে পড়ুন নিবন্ধের বাকি অংশটি।
চা থেকে চুলের যত্ন অনেকটা অবাস্তব মনে হলেও ঘরোয়া টোটকার মধ্যে এটি অন্যতম। কারণ চায়ে রয়েছে এমন কিছু গুন, যা চুলের গোড়ায় পুষ্টি যোগাতে সক্ষম। তবে দুধ চা কিন্তু নয়, চুলের যত্নে ব্ল্যাক-টি বা গ্রীন-টি’ই কাজে লাগে। এই দুটি চায়ের মধ্যে ভরপুর পরিমানে রয়েছে বায়োঅ্যাক্টিভ যৌগ। এছাড়াও চায়ের সাধারণ উপাদানের মধ্যে অন্যতম হল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান। এই দুই উপাদান চুলের গোড়ায় সঠিক পুষ্টিকে ধরে রাখে। যার ফলে চুল পড়া কমে যায় অনেকাংশে। এছাড়াও চায়ে থাকে ভিটামিন-ই, আয়রন ও বিভিন্ন খনিজ উপাদান নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। তাই চুলের সার্বিক যত্নে চায়ের বিকল্প নেই।
কিন্তু এবার প্রশ্ন হচ্ছে যে চা দিয়ে কিভাবে চুলের যত্ন নেবেন? এর জন্য একটি পাত্রে এক লিটার জল নিয়ে সেটিকে গরম হতে দিন। এর সঙ্গে পরিমাণমতো কালো চা বা সবুজ চায়ের পাতা মিশিয়ে চিনি ছাড়া ফুটিয়ে নিন এবং ছেঁকে নিয়ে ঠান্ডা করুন। এবার এই মিশ্রণ চুলের স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করুন। মিনিট পনেরো ম্যাসাজ করার পর চুল বেঁধে ঘন্টাখানেক রেখে দিন। তারপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। প্রতিদিন এই ম্যাসাজ করার চেষ্টা করুন। একমাস পর আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন এর ফলাফল।