প্রথম পাতা রাজ্য দেশ আন্তর্জাতিক শিক্ষা রাজনীতি লাইফস্টাইল

Floor Cleaning: বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন ফ্লোর-ক্লিনার, জৈব উপাদানে দূর হবে আরশোলা, পিঁপড়ে

কথায় বলে, স্বাস্থ্যই সম্পদ। তাই সুস্থ ও সুরক্ষিত জীবনযাপন করার জন্য আমাদেরকে থাকতে হয় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। শুধু পরিষ্কার জামাকাপড় পড়লে বা রোজ স্নান করলেই কিন্তু আমরা সব রোগের থেকে দূরে…

Published By: Debaprasad Mukherjee | Published On:

কথায় বলে, স্বাস্থ্যই সম্পদ। তাই সুস্থ ও সুরক্ষিত জীবনযাপন করার জন্য আমাদেরকে থাকতে হয় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। শুধু পরিষ্কার জামাকাপড় পড়লে বা রোজ স্নান করলেই কিন্তু আমরা সব রোগের থেকে দূরে থাকতে পারবো না। কারণ এর সঙ্গে আরও বিভিন্ন দিক দিয়ে আমাদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হয়। তাতে মধ্যে অন্যতম হল গৃহস্থালির নানা ব্যবহার্য জিনিসপত্র ও ঘরের মেঝে। রান্নাঘরের থেকে বেডরুম, বসার ঘর থেকে ঠাকুর ঘর-সব জায়গার মেঝে পরিষ্কার থাকলে ঘরের সৌন্দর্যই বৃদ্ধি পায়।

এবার সিমেন্টের মেঝে হলে তার উপর একটি আধটু দাগ থাকলেও তা এতটা বোঝা যায়না। কিন্তু মার্বেল পাথর বা সাদা টাইলসের উপর যেকোনো দাগ সহজেই দৃশ্যমান হয়। অনেক সময় এসব দাগ তুলতে আমাদের হিমশিম খেতে হয়। কারণ অনেক জেদি দাগ দূর করা যায়না ক্লিনিং লিকুইড বা ফিনাইল দিয়ে। তবে এর জন্য রয়েছে একটি ঘরোয়া টোটকা, যা দিয়ে পরিষ্কার করলে মেঝে থেকে জেদি দাগ তুলতে কয়েকমিনিটও সময় লাগবে না। একনজরে দেখে নিন কিভাবে তৈরি করবেন এই এই টোটকা।

● উপকরণ: আসলে এটি একটি ক্লিনিং লিকুইড তৈরি হবে, যা সম্পূর্ণভাবে জৈব উপাদান দিয়ে তৈরি হবে। আসলে এই লিকুইডে যেসব উপাদান ব্যবহার করা হবে, সেগুলি যেমন পরিষ্কার করবে মেঝে, তেমনই আবার দূরে রাখবে পিঁপড়ে বা আরশোলার মতো পোকাদেরও। এই লিকুইড তৈরি করতে দরকার পড়বে – বেকিং সোডা, ন্যাপথলিন বল, কর্পূর, ভিনিগার, লেবুর রস, বোরেক্স পাউডার এবং লবঙ্গের গুঁড়ো।

● পদ্ধতি: এই লিকুইড তৈরির জন্য না দরকার উনুনের, না দরকার পড়বে কোনো আলাদা জিনিসের। প্রথমেই সব উপকরণকে আলাদা আলাদা গুঁড়ো করে নিতে হবে। এবার এক বোতল পরিমাণ জল নিতে হবে একটি পাত্রে। এবার সেই জলে সব উপকরণগুলো এক চা চামচ করে মিশিয়ে দিতে হবে। ভালোভাবে জলে মিশিয়ে নিয়ে একটি কাপড়ে ছেঁকে নিন এই লিকুইডটিকে। এবার সেটিকে সাতদিন পর্যন্ত রাখতে পারেন ব্যবহারের জন্য।

● ব্যবহার ও উপকার: এই লিকুইড এক কাপ মতো মিশিয়ে নিতে হবে এক বালতি জলের সঙ্গে। এবার এই জল দিয়ে ঘর মুছুন সপ্তাহে তিনদিন। এতেই ঘরের পোকামাকড় দূর হবে এবং ঘরের মেঝে হবে পরিষ্কার।

Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্যভিত্তিক। এমন কোনো উপাদান তৈরির আগে সব ধরণের সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক।