কেনাকাটা হল মানব জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। আমাদের প্রতিদিনই কোনো না কখনো জিনিস কেনাকাটা করতে হয়। কোনোদিন যেমন রান্নাবান্না বা সংসারের যেকোনো জিনিস কিনতে যেতে হয় মুদির দোকানে, তেমনই আবার আজকাল ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী কিনতে ছুটতে হয় এইসব সামগ্রীর দোকানে। আবার আরো নানা প্যাকেটজাত খাবার কিনতেও যেতে হয় ফুড মার্ট বা এরকম কোন দোকানে। একইভাবে আমাদের মাঝেমধ্যে জামাকাপড় সহ ব্যাগ এবং রোজকার ব্যবহারের যেকোনো জিনিস কিনতে ছুটতে হয় দোকানে। তবে এই সব সমস্যার সমাধান এখন এসেছে হাতের মুঠোয়।
আজকাল জিনিসপত্র বাড়িতে বসেই কেনা যায়। ই-কমার্স ওয়েবসাইট বা এপ্লিকেশন থেকে সেইসব জিনিস মোবাইল থেকেই অর্ডার করা যায়। আর এমনটা করে দিলে কয়েকদিনের মধ্যেই ডেলিভারি ম্যান সেই জিনিসগুলি পৌঁছে দেয় আমাদের বাড়িতে। আর এই ব্যবসায় বেশ নামডাক বেড়েছে ফ্লিপকার্ট ও আমাজনের মতো ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের। তবে এখন ভারতে সবথেকে বেশি ব্যবসা করে ফ্লিপকার্ট। তাদের ই-কার্ট নামের নিজস্ব ডেলিভারি সিস্টেম চালু রয়েছে দেশের কোনায় কোনায়। এই সংস্থাই অর্ডার করা সব জিনিস পৌঁছে দেয় গ্রাহকদের বাড়িতে।
তবে ফ্লিপকার্টে কোনো জিনিস অর্ডার করা হলে সেই জিনিস বাড়িতে ডেলিভারি হতে ৫ থেকে ১০ দিন অবধি সময় লেগে যায়। সেই কারণে অনেক গ্রাহক আপদকালীন পরিস্থিতিতে জিনিস হাতে পান না। আর এটা ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের একটি সমস্যা বলা চলে। তবে এবার এই সমস্যার সমাধান করতে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে চলেছে ফ্লিপকার্ট। এবার ফ্লিপকার্ট থেকে কোনো জিনিস অর্ডার করলে সেই দিনেই সেটি ডেলিভারি করা হবে বাড়িতে। আর দেশের বেশ কিছু শহরে এই পরিষেবা চালু করতে চলেছে সংস্থা।
ফ্লিপকার্ট সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে যে আপাতত এই একদিনে ডেলিভারি পরিষেবা চালু হবে আমেদাবাদ, বেঙ্গালুরু, ভুবনেশ্বর, চেন্নাই, কোয়েম্বাটুর, নাগপুর, পুনে, পাটনা, রায়পুর, শিলিগুড়ি, কলকাতা এবং বিজয়ওয়াড়া শহরে। তবে আগামীতে আরো অনেক শহরে এই পরিষেবা চালু করতে চলেছে ফ্লিপকার্ট। তবে এই সুবিধা দেওয়ার জন্য একটি শর্ত রেখেছে ফ্লিপকার্ট। তারা জানিয়েছে যে কোনো গ্রাহক যদি কেবলমাত্র দুপুর ১ টার মধ্যে অর্ডার করেন, তাহলেই রাত ১২ টার আগে ডেলিভারি দিয়ে দেওয়া হবে।