বাড়ির আনাচে কানাচে বেশিরভাগ সময় তাদের দেখা যায়। কখনো দেওয়ালে চরে বেড়ায় এই ভুঁইফোড় প্রাণীটি। প্রাণীটি হল টিকটিকি। এই প্রাণীটি হল অনেকের আতঙ্কের কারণ। কারণ অনেকেই টিকটিকি দেখলে লাফিয়ে ওঠেন। কারণ তারা এই প্রাণীটিকে সহ্য কিরতে পারেন না। অন্যদিকে নানান রোগ ছড়িয়ে বেড়ায় এই সরীসৃপ প্রাণী। এছাড়াও এই প্রাণীর বিষ্ঠাও ভীষণ ক্ষতিকারক ও বিষাক্ত। কোনো খাবারে টিকটিকি পরে গেলে বা তার বিষ্ঠা পড়ে গেলে সেই খাবার পাকস্থলীতে পৌঁছালেই হতে পারে নানা রোগ।
কিন্তু কোন উপায়ে ঘর থেকে দূরে রাখবেন টিকটিকিকে? এর উত্তরে অনেকেই বলেন ডিমের খোসা কিংবা ময়ূর পালক ঘরের কোণায় রাখার কথা। কিন্তু ডিমের খোসা একদিকে যেমন দৃষ্টিকটু, অন্যদিকে ময়ূর পালক এখানে ওখানে রাখার ব্যাপারেও রয়েছে নানান ধর্মীয় বিশ্বাস। কিন্তু তাহলে ঠিক কোন উপায়ে গৃহস্থালি থেকে দূরে রাখা যাবে অনামন্ত্রিত এই সরীসৃপকে? ঘরের মধ্যে কি কি রাখলে থাকবে না টিকটিকি? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে অনেকেই হিমশিম খেয়ে যান। তবে এই নিবন্ধে আপনাদের জন্য রইল একটি সহজ সমাধানের সন্ধান।
বাড়ি থেকে টিকটিকি তাড়াতে সবথেকে কার্যকরী উপাদান হল তামাক পাতা। কারণ টিকটিকি তামাকের গন্ধ এক্কেবারে সহ্য করতে পারে না। সেই কারণে তামাক পাতার সাহায্য নিয়ে বাড়ি থেকে টিকটিকি দূর করা যায়। এর জন্য তামাক পাতার সঙ্গে আপনার দরকার পড়বে কফি পাউডার ও ময়দার। প্রথমে বেশ কিছুক্ষণ তামাক পাতা ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর সেটির সঙ্গে অল্প কফি পাউডার ও নোয়দা মিশিয়ে গুলির আকৃতিতে পাকিয়ে ফেলতে হবে। এবার সেই গুলতিগুলি বাড়ির আনাচে কানাচে ছড়িয়ে দিতে হবে। এতে টিকটিকি বাড়ির ভেতরে ঢুকবে না। তবে বাড়িতে বাচ্চা থাকলে অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
তবে তামাক ছাড়াও পেঁয়াজ এবং রসুনের তীব্র গন্ধ টিকটিকিরা সহ্য করতে পারে না। বিশেষ করে রসুনের গন্ধ পেলেই তার ত্রিসীমানায় দেখা যায়না এই সরীসৃপকে। তাই টিকটিকি দমনে এটি একটি অব্যর্থ টোটকা হয়ে উঠতে পারে। তাই রসুনের কয়েকটি কোয়া থেঁতো করে জলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। তার পরে সেই জলটি টিকটিকির যাতায়াতের জায়গাগুলিতে স্প্রে করুন। তাতেই কমবে টিকটিকির উৎপাত। এছাড়াও ঘরের কোণে ন্যাপথলিন রেখে দিলে টিকটিকি সেই দিকে আর যাবে না।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্যর ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এইসব উপায় অবলম্বন করার আগে বাড়তি সতর্কতা গ্রহণ করা জরুরি।