শীত হোক বা গ্রীষ্ম হোক বা বর্ষা, বছরের সব সময়ই চা ও কফি খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে। আজকাল চায়ের তুলনায় কফি অনেকেই পছন্দ করেন। দিনের নানা সময়ে এই পানীয় খেয়ে অনেকেই শরীরের এনার্জি ফিরিয়ে আনেন। কফির মধ্যে বেশ কিছু উপকারী উপাদান রয়েছে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড ও মেলানয়ডিনস। এগুলি ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও কফিতে থাকা ফেনলিক অ্যাসিড বার্ধক্যরোধক হিসাবে কাজ করে। পাশাপাশি, কফি পান করলে শরীরের এনার্জি ফিরে আসে। একইভাবে ক্লান্তি দূর করতেও কফির জুড়ি মেলা ভার।
তবে কফি যে সবসময় উপকারী তাও কিন্তু নয়। কফিও কিন্তু একদিকে ক্ষতিকর। কারণ কফিতে উচ্চমাত্রায় রয়েছে ক্যাফেইন নামের উপাদান। এই উপাদান মানুষের শরীরে রক্তচাপ বৃদ্ধি করে। এর ফলে শরীরে নানা সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে কফি খাওয়ার নেশা থাকলে উচ্চ রক্তচাপ একসময় চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়াও কফিতে থাকা ক্যাফেইন আসক্তি বাড়িয়ে তোলে। অনেকেরই যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা রয়েছে, কফি লহেলে তাদের এই সমস্যা বেড়ে যায়। আবার যারা চিনি ছাড়া কফি খেতে পারেন না, তাদের ক্ষেত্রে তো কফির নেশায় সুগারের সমস্যা আসবেই।
কিন্তু তাহলে কি কফি খাওয়া ছেড়ে দিতে হবে? অনেকের মনেই এই প্রশ্ন এখন জাগছে। আপনিও এমন কিছু ভাবলে উত্তরটা হবে, না। তাই কফির একটি বিকল্প নিয়ে লেখা হয়েছে প্রতিবেদনটি। কফি ছাড়াই এবার কফি কেটে পারবেন। শুনে অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই। অবাক হওয়ার কিছু নেই, কারণ এবার থেকে খেজুরের বীজ থেকে কফি বানিয়ে নিতে পারবেন। এটিকে বলা হয় ‘ডেট সিড কফি’। মধ্যপ্রাচ্যের দেশে এই কফি খাওয়ার চল রয়েছে। আর এই কফি পাউডার আপনি বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারবেন।
এখন চলছে রমজান মাস। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের অনেকেই রোজা পালন করে ইফতারে খেজুর খেয়ে থাকেন। আবার হিন্দুদের অনেক পুজোয় খেজুর লাগে। তাই খেজুরের ব্যবহার ভালোজ রয়েছে। এবার সেই খেজুর খেয়ে বীজ ফেলে দেওয়া চলবে না। একটি পাত্রে বীজ জমিয়ে রাখুন। বীজের ওপরে থাকা পাতলা আস্তরণ তুলে বীজটি ধুয়ে শুকিয়ে নিন। এবার রোস্টার বা সাধারণ ওভেনে সেগুলিকে রোস্ট করুন। তারপর গ্রাইন্ডার মেশিনে মিহি করে গুঁড়ো করে নিন। এবার গরম জলে সেই পাউডার মিশিয়ে খান। বিশেষজ্ঞদের মতে এই ‘ডেট সিড কফি’ খাওয়ার অনেক শারীরিক উপকার পাওয়া যায়।
Disclaimer: নিবন্ধে উল্লিখিত খাবারের একশোভাগ শুদ্ধতা দাবি করেনা Hoophaap। খাওয়ার আগে বিশেষজ্ঞর থেকে পরামর্শ নেওয়া জরুরি।