জীবনে সুখ শান্তি কেই বা না চায়! সকলের মনে একটাই চাহিদা- জীবনে থাকুক সুখ, মনে থাকুক শান্তি আর ব্যাংকে আধিক্য হোক লক্ষ্মীর। কিন্তু এই সুখ ও শান্তির মাঝেই আচমকা কখনো কোনোদিন নেমে আসে চরম বিপদ। অসফলতা ও মানসিক অশান্তিতে ডুবে যায় আমাদের মনের সবটা। তবে এমন সব সময়কে পের করে ভালো সময় আসে ঠিক সেভাবেই, যেভাবে রাতের পর দিন আসে। তবে এটি তাড়াতাড়ি করতে হলে সেখানে জ্যোতিষশাস্ত্র ও বাস্তুশাস্ত্র কিছু বিধি দিয়ে থাকে। মূলত এই সব বিষয়েই চর্চা হয় জ্যোতিশশাস্ত্র ও বাস্তুশাস্ত্রে।
কিন্তু জীবনের সব সমস্যার সমাধানের উপায় রয়েছে আমাদের চারপাশেই। এই মতামত দিয়ে থাকেন ভারতের প্রাচীনতম এই দুই শাস্ত্রের বিশেষজ্ঞরা। তাই জীবনে কঠিন সমস্যা হলেও সেভাবে দুশ্চিন্তা বা হতাশাগ্রস্ত না হয়ে পড়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন তারা। কারণ আমাদের বাড়ির সাধারণ ব্যবহার্য জিনিসপত্র বা রান্নাঘরের কোনো বস্তুকে সঠিকভাবে ব্যবহার করলেই তার সুফল পড়ে আমাদের জীবনের উপর। আর এইসব সমাধানের বিষয়েও আলোচনা হয়ে থাকে জ্যোতিষশাস্ত্রে।
হলুদ হল এমনই একটি রান্নাঘরের অতি সাধারণ জিনিস। বিভিন্ন রান্নায় হলুদের ব্যবহার হয়। মাছের বাহারি রান্না হোক বা মাংসের ঝোল, বাঙালির রান্নাঘরে হলুদের জুড়ি মেলা ভার। হলুদ ছাড়া রান্নায় বাঙালির পেট ভরলেও, ভরেনা মন। এককথায় বললে, যুগ যুগ ধরে বাঙালির হেঁসেলে হলুদ একটি গুরুত্বপূর্ণ মশলার সম্মান পেয়ে আসছে। তবে শুধু রান্না নয়, হলুদের রয়েছে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা সহ আরো নানান আশ্চর্য গুনাগুন। তার মধ্যে অন্যতম হল আমাদের জীবনের উপর হলুদের প্রভাব।
বাস্তুশাস্ত্র মতে, মানিব্যাগে টাকাপয়সার পাশাপাশি কেউ যদি কাঁচা হলুদের টুকরো রেখে দিতে পারে, তাহলে তার জীবনে মা লক্ষ্মীর কৃপার বর্ষণ হতে পারে। কারণ হলুদ হল শুভ এবং এই রং ভগবান বিষ্ণুর খুবই প্রিয়। তাই বিষ্ণুকে প্রসন্ন করা গেলে মা লক্ষ্মীর কৃপালাভ হবে অনায়াসে। এছাড়াও কোনো পরীক্ষা বা ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার আগে মানিব্যাগে এই হলুদের টুকরো রেখে দিলে ভাগ্য সহায় হয়। তাই বাস্তশাস্ত্রে মানিব্যাগে হলুদের টুকরো রাখাকে শুভ বলেই গণ্য করা হয়ে থাকে।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্যের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। কোনরূপ কুসংস্কারকে প্রশ্রয় দেওয়া আমাদের উদ্দেশ্য নয়।