মাঘের কয়েকদিন যেতে না যেতেই এবার এবার জাঁকিয়ে শীত পড়েছে রাজ্যজুড়ে। কারণ হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস মোতাবেক আগামী কয়েকদিন রাজ্যে কোনো ঘূর্ণাবর্ত বা নিম্নচাপের প্রভাব পড়বে না। সেই কারণে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে আগামী এক সপ্তাহ। একইসঙ্গে রাজ্যে উত্তুরে হাওয়া প্রবেশ করবে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। এর ফলে পারদের পতন দিন দিন বাড়বে রাজ্যের বুকে। আর পারদের পতনের সঙ্গে কনকনে ঠান্ডায় জুবুথুবু গোটা দক্ষিণবঙ্গ। উত্তরবঙ্গেও লাগাতার ঠান্ডা বাড়ছে।
আর এই শীতকাল মানেই নানা রোগের প্রাদুর্ভাব। বিশেষ করে যাদের কোল্ড এলার্জির সমস্যা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে তো শীতকাল পর করা এডভেঞ্চারের থেকে কিছু অংশে কম নয়। এছাড়াও শীতে বাড়ে বাতের ব্যাথা। একইসঙ্গে আরো নানা শারীরিক সমস্যা বৃদ্ধি পায় এই শীতকালে। তবে শীতের এইসব সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে রান্নাঘরের একটি জিনিস। আর সেটি হল রসুন। রসুনের মধ্যে এমন কিছু গুনাগুন রয়েছে, যা অনেক শারীরিক সমস্যাকে ওষুধ ছাড়াই সরিয়ে তুলতে পারে। এখন একনজরে দেখে নিন রসুনের গুনাগুন।
● ফুসফুস চাঙ্গা রাখতে: শীতকাল এলেই অনেকে শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভোগেন। ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই সমস্যাটি বাড়তে থাকে। তবে রসুন খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। তার জন্য নিয়মিত একজোড়া কাঁচা রসুনের কোয়া খেতে হবে। তাহলেই মিলবে উপকার।
● ওজন কমাতে: আজকাল ওজন বৃদ্ধির সমস্যায় অনেকেই ভুগছেন। কেউ যেমন জিমে গিয়ে ওজন ঝরাচ্ছেন, কেউ আবার সেটি করার সময় পাচ্ছেন না। তবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে রসুন। কারণ রসুনে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট বিপাকে সাহায্য করে। এর ফলে ওবেসিটির সমস্যা থেকে মুক্তিলাভ ঘটে।
● সর্দি কাশির ধাত কমাতে: শীত পড়লেই সর্দির সমস্যা অনেকের শরীরে দেখা যায়। একইসঙ্গে ঠান্ডা লেগে কাশিও হয়। তবে শীতে এই ঠান্ডা লাগার ধাত কমাতে রসুন খাওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে নিয়মিত কাঁচা রসুন ও মধু খেলে উপকার পাওয়া যেতে পারে।
● হাড়ের দৃঢ়তা প্রদানে: রসুনে থাকা অনেক উপাদানের মাঝে ক্যালসিয়াম হল গুরুত্বপূর্ণ। তাই বেশি মাত্রায় রসুন খেলে হাড়ের দৃঢ়তা বৃদ্ধি পায়। সেই কারণেই শিশুদের রসুন খাওয়ানোর পরামর্শ দেন ডাক্তাররা। একইসঙ্গে বয়স্ক মানুষদের ক্ষেত্রেও এটি উপকারী প্রমাণিত হয়।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্যের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। বাস্তব জীবনে যেকোনো সমস্যায় আগে বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিন।